চট্টগ্রাম: মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কেয়া খান বলেছেন, সুবিধা বঞ্চিত অবস্থা থেকে উঠে এসে যারা সফল হয়েছেন তাদের পরিচিতি করিয়ে দিতেই আজকের আয়োজন। এতে অন্যরাও উৎসাহিত হবেন।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম নগরের আইস ফ্যাক্টরি রোড়ের প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় ও চট্টগ্রাম মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত 'অদম্য নারী পুরষ্কার ২০২৪' অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এখানে এসে আমার মায়ের কথা মনে পড়ছে। নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে আমরা কাজ করছি। এই কাজের একটি অদম্য নারী সম্মাননা।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. জিয়াউদ্দীন বলেন, সমাজে মানুষে মানুষে বিভাজন আছে। মানসিক বাধা দূর করা দরকার। নারীদের পাশে দাঁড়াতে হবে। উন্নত বিশ্বে নারী-পুরুষ কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করছে। আমাদের এখানেও নারীদের কাজে আনা হচ্ছে না। কারণ এটা যুগের দাবী। একক আয়ে এখন আর সংসার চলছে না। শুধু চাকরি করলেই সফল বা স্বাধীন বলা যাবে না। আপনার নিজের জীবন নিয়ে নিজে সিদ্ধান্ত নিতে পারলেই আপনি স্বাধীন। আয় ও ব্যয় দুটিই যদি আপনার সিদ্ধান্তে হয়- তবেই আপনি স্বাধীন।
চট্টগ্রাম নগরের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শাকিলা সোলতানা বলেন, নিজের জন্য ৩০ মিনিট ব্যয় করেন। ইউগা করেন, একসারসাইজ করেন। ঘরে বসেই আজকাল অনেক কাজ করা যায়। ক্যাটারিং একটা গুরুত্বপূর্ণ পেশা হয়ে উঠেছে এখন। কোনো কাজই ছোট নয়, যে কোনো ব্যবসা করতে পারেন। দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারেন। নিজের মূল্যায়ন নিজে করতে শিখুন। নিজেকে ছোট ভাববেন না কখনো। পুরুষরা সহযোগিতা করছেন বলেই আমরা একগানে আছি।
অদম্য নারী পুরস্কার কর্মসূচির পরিচালক মনির হোসেন বলেন, নারীদেরর সম্মান এবং জাতীয় পর্যায়ে তাদের অবদানের স্বীকৃতি দিতেই এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। ৫টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেয়া হয়। উপজেলা থেকে জেলা হয়ে আজকে বিভাগীয় পর্যায়ে পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। ৮টি বিভাগের ৪০ জন থেকে বাছাই করে এরপর জাতীয় পর্যায়ে ৫ জনকে দেওয়া হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়ে ৫ জন অদম্য নারীকে সম্মাননা স্মরক ও পুরস্কার দেওয়া হয়। তারা হলেন, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অবদানের জন্য হাটহাজারী উপজেলার কামাল পাড়া ইউনিয়নের নিগার শারমিন। শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে অবদানের জন্য নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার রেহেনা সুলতানা। সফল জননী হিসেবে পটিয়া উপজেলার নাইখাইন গ্রামের চেমন আরা বেগম ও সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য কক্সবাজার জেলার মোহাজের পাড়া এলাকার জাহানারা ইসলাম ও নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যোমে জীবন শুরু করেছেন যে নারী কক্সবাজার সদরের ঘোনার পাড়া গ্রামের ফাতেমা বেগম।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৫
বিই/পিডি/টিসি