ঢাকা, সোমবার, ২৭ মাঘ ১৪৩১, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ শাবান ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

৪৮ ঘণ্টার ‘লক আউট’ কর্মসূচি দুই মাস স্থগিত 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৫
৪৮ ঘণ্টার ‘লক আউট’ কর্মসূচি দুই মাস স্থগিত 

চট্টগ্রাম: চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের সাথে সভা করে প্রাইম মুভার ট্রেইলার, ফ্লাটবেড, লো-বেড ও সেমি লো-বেড মালিক-শ্রমিকদের ডাকা সোমবার-বুধবার পর্যন্ত লক আউট (গাড়ি বন্ধ) কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।  

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সভা শেষে এ ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম প্রাইম মুভার ও ফ্লাটবেড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান রাজু।

বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন চসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আজিজ আহমদ।  

তিনি জানান, সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন, জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. একরামুল করিম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের যুগ্ম সম্পাদক মো. শাহজাহান, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. আহসান উল্লাহ চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রাইম মুভার ফ্লাটবেড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আবু সালেহ জুয়েল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান রাজু, বিআরটিএ চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক মো. মাসুদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আসফিকুজ্জামান আকতার, বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মোরশেদুল আলম কাদেরী প্রমুখ।

 

মেয়র বলেন, বন্দর আমাদের মূল অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি। যেকোনোভাবে বন্দর রক্ষা করতেই হবে। গাড়ি বন্ধ হলে দেশের বিশাল অর্থনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে। এটা বিভক্তির সময় নয়। দেশের অর্থনীতি রক্ষার স্বার্থে সবাইকে ছাড় দিতে হবে। দেশ থেকে ২৪ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে, অথচ এখন আমাদের উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ নেই। আমি আমার সিটি করপোরেশনের ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার নালা-খাল পরিষ্কার করতে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছিলাম, কিন্তু মাত্র ৫ কোটি টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা এখনো পাইনি। ফলে আমার নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করতে হচ্ছে। দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা উপলব্ধি করে ছোট-খাট বিষয়ে আন্দোলন পরিহার করতে হবে। আমি পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দের দাবিগুলো শুনেছি। যেসব দাবি যৌক্তিক সেগুলো বাস্তবায়নে সহায়তা করব।  

সংগঠনের নেতারা জানান, গণপরিবহন আইনের বিভিন্ন জটিলতার প্রেক্ষিতে মামলা-জরিমানার বোঝা টানতে গিয়ে গণপরিবহন মালিক-শ্রমিকরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এজন্য আমরা ২ দিনের জন্য গাড়ি বন্ধের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলাম। তবে, মেয়র মহোদয়ের নেতৃত্বে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আমাদের দাবিগুলো শুনেছেন। মেয়র মহোদয় আমাদের সহযোগিতা করার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন বিধায় দুই মাসের জন্য কর্মসূচি স্থগিত করা হলো।

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৫
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।