চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: প্রতিবছরের ন্যায় এবারও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (চবিসাস) আয়োজনে অনুসন্ধান ও ফিচার ক্যাটাগরিতে বর্ষসেরা প্রতিবদন পুরস্কার ঘোষণা করেছে।
রোববার (১ জুন) দুপুরে চবির জীববিজ্ঞান অনুষদের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত চবি সাংবাদিক সমিতির ২৫তম কার্যনির্বাহী কমিটির বার্ষিক সাধারণ সভায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।
'সিইউজেএ মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড-২০২৪' প্রাপ্ত চবিসাসের চার সদস্য হলেন- বর্ষসেরা অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন দৈনিক পূর্বকোণের চবি প্রতিনিধি আহমেদ জুনায়েদ। দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন দৈনিক আমার দেশের চবি প্রতিনিধি আতিকুর রহমান।
এছাড়া বর্ষসেরা ফিচার ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন দৈনিক যুগান্তরের চবি প্রতিনিধি রোকনুজ্জামান এবং দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন প্রতিদিনের বাংলাদেশের চবি প্রতিনিধি মো. মাসুদ।
বার্ষিক সাধারণ সভায় দায়িত্ব হস্তান্তর, নবীন বরণ এবং প্রবীণ সদস্যদের বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
চবি সাংবাদিক সমিতির ২৫তম কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সদ্য বিদায়ী কমিটির সভাপতি মুহাম্মাদ আজহার। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। বিশেষ অতিথি ছিলেন চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মো. শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আল-আমিন, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. গোলাম কিবরিয়া, হালদা নদী গবেষক অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল কিবরীয়া, চবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ, চবি তথ্য ও ফটোগ্রাফি শাখা প্রশাসক ড. শহীদুল হক এবং ছাত্র উপদেষ্টা ড. মো. আনোয়ার হোসেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে সাংবাদিক সমিতির সাবেক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা এতে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কথার সঙ্গে যদি সাংবাদিক সমিতির কথা মিলে যায়, তাহলে সাংবাদিকরা সঠিক পথে নেই মনে করব। জুলাই বিপ্লবে চবিসাসের ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। এটাকে ধরে রাখতে হবে। এমন কোনো দিন নেই যেদিন আমাকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়া লাগে না। এ থেকেই চবিতে কর্মরত সাংবাদিকদের তৎপরতা অনুমান করা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্বিক সমস্যা-সম্ভাবনা তুলে ধর সাংবাদিকরা বরাবরের মত ভূমিকা রাখবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মো. শামীম উদ্দিন খান বলেন, সাংবাদিকতা বলা রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। আবার দেশের খারাপ সময়গুলোর পেছনেও ৫০% দায়ী সাংবাদিকরাই। তারা চাইলে একটি রাষ্ট্রের জন্য অনেককিছু করতে পারেন। এমন কোনো নিউজ আমরা আশা করি না, যেটাতে মিথ্যা তথ্য থাকবে। সঠিক তথ্যের যেকোন নিউজের ব্যাপারে আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে যাব। শুধু নেতিবাচক নিউজই নয়, ইতিবাচক বিভিন্ন বিষয়গুলোও তুলে ধরতে হবে।
চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, ক্যাম্পাসে সাংবাদিকরা আমাদের ছাত্র। তারা সঠিক নিউজ করার চেষ্টা করেন। হ্যাঁ, কিছুকিছু ক্ষেত্রে আপনারা নিউজ পাঠালে অফিস থেকে হয়তো এদিক-সেদিক করা হয়, এটা আমরাও বুঝি। তবে নেতিবাচক নিউজের পাশাপাশি ইতিবাচক নিউজগুলোও বেশি বেশি করতে হবে। আপনাদের উচিৎ শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো বেশি বেশি আমাদের নজরে নিয়ে আসা। আশাকরি নতুন নেতৃত্বে যারা এসেছেন, আপনারা এই কাজগুলোতে আরও বেশি মনোযোগী হবেন।
এমএ/পিডি/টিসি