চট্টগ্রাম: ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরকে 'কটাক্ষ' করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন সদ্য বহিষ্কৃত ছাত্রদল নেতা মামুন উর রশিদ। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ সভাপতি ছিলেন।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া ওই স্ট্যাটাসে তিনি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছিরের কড়া সমালোচনা করেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনের একেবারে অন্তিম সময়ে ছাত্রদলের এই অভ্যন্তরীণ কোন্দল নেতাকর্মীদের যেমন হতাশ করছে, তেমনি সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝেও ফেলছে নেতিবাচক প্রভাব।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) আজীবনের জন্য বহিষ্কৃত হওয়ার আগে মামুন ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি।
যদিও মামুনকে বহিষ্কারের কারণ আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি, তবে চাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের প্যানেলে জায়গা না পাওয়া কয়েকজনকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করেছিলেন মামুন। এই কারণেই তাকে বহিষ্কার করা হয় বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।
বহিষ্কারাদেশ ঘোষণার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। অনেকেই মামুনকে 'ত্যাগী নেতা' আখ্যা দিয়ে তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান। তবে মামুন শুরুতে কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি।
অবশেষে মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে নীরবতা ভেঙে নাছির উদ্দীনের ছবি সংযুক্ত করে একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস দেন তিনি। সেখানে মামুন লেখেন, 'সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন ২০২৫-এ সুন্দর প্যানেল দিয়ে ছাত্রদলের বিজয় নিশ্চিত করায় ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবকের প্রতি আবেদন করছি-জনাব নাছির উদ্দীন নাছিরকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি হিসেবে শূন্য পদে মনোনীত করা হোক। ডাকসু ও জাকসুতে হারার পরও কেমন করে এই পদে থাকেন তিনি! আমি যদি ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক হতাম, নিজে পদত্যাগ করে নাছির উদ্দীন নাছিরকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুই বিঘা জমি লিজ নিয়ে জোবরার জমিদারদের কাছ থেকে চারটি গরু কিনে চাষ করতে দিতাম। '
স্ট্যাটাসটি বেশ কিছুক্ষণ মামুনের ওয়ালে থাকলেও পরে সেটি আর দেখা যায়নি। তার আগেই পোস্টটি ঘিরে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। অনেকেই এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে মতামত দেন।
বিই/পিডি/টিসি