চট্টগ্রাম: রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে চট্টগ্রাম জেলায় খুনের ঘটনা বেড়েছে। চট্টগ্রামে গত নভেম্বরে এক মাসের মধ্যে ১১টি খুনের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় খুনের ঘটনা বেড়ে যাবার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নান বলেন, গত এক মাসে বিভিন্ন অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রাখা গেলেও খুনের ঘটনা এড়ানো যায়নি। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বেশকিছু খুন-খারাবির ঘটনা ঘটেছে।
জেলা পুলিশ সুপার একেএম হাফিজ আক্তার বলেন, রাস্তায় গাড়িতে চোরাগোপ্তা হামলা হচ্ছে। নিরীহ লোকজনকে পেট্রল বোমা মারা হচ্ছে। গরুর গাড়িতে পর্যন্ত হামলা হচ্ছে। পুলিশকে টার্গেট করে আগুন দেয়া হচ্ছে। এ ধরনের সহিংসতা আমাদের অতীতে মোকাবেলা করতে হয়নি।
জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভার মাসিক অপরাধ প্রতিবেদনে বলা হয়, গত নভেম্বরে চট্টগ্রাম জেলার ১৬টি থানা এলাকায় ১১টি খুন, একটি দস্যুতা, ৫টি সিঁধেল চুরি, ১০টি চুরি, ৫টি দাঙ্গা, একটি অপহরণ, ৫টি ধর্ষণ ও ২৪টি নারী নির্যাতন এবং ২৩৭টি আরও বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঘটেছে। মামলা হয়েছে মোট ৩০৫টি।
এর আগে গত অক্টোবর মাসে মামলা হয়েছিল ৩০২টি। খুনের ঘটনা ঘটেছিল ৯টি।
২০১২ সালের নভেম্বরে মামলা হয়েছিল ২৯২টি। খুনের ঘটনা ঘটেছিল ৮টি।
তবে গত অক্টোবর ও ২০১২ সালের নভেম্বরে রাজনৈতিক খুনের ঘটনা তেমন ছিলনা বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
কিন্তু বিরোধীদলের অবরোধের ঘোষণা আসার পর গত ১০ নভেম্বর হাটহাজারী উপজেলার মাদার্শায় পিকেটারদের হামলায় নির্মল জলদাস নামে একজন নিহত হন।
১১ নভেম্বর লোহাগাড়া উপজেলায় মাহবুবুর রহমান বাপ্পি নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে খুন করা হয়। খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কয়েকজন শিবির কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
২৭ নভেম্বর সাতকানিয়ার কেরাণিহাট এলাকায় পিকেটারদের ছোঁড়া ককটেলে মায়ের সামনেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন মো.শাহেদ নামে এক যুবক।
৩০ নভেম্বর সাতকানিয়া উপজেলার হাসমতের দোকান এলাকায় পিকেটারদের ধাওয়ায় দ্রুতগামী একটি ট্রাকের চাপায় রং মিস্ত্রি নিমাই নাথসহ দু’জন নিহত হয়।
চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার একেএম হাফিজ আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, ‘কিছু খুনের ঘটনা ঘটলেও অন্যান্য অপরাধ আমরা নিয়ন্ত্রণে রেখেছি। রাজনৈতিক সহিংসতা, নাশকতা দমনের দিকেই এখন আমরা মূলত বেশি নজর দিচ্ছি। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫,২০১৩
সম্পাদনা: তপন চক্রবর্তী, ব্যুরো এডিটর।