ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে না জানলে ভুল পথে যাবে কিশোর-কিশোরিরা’

চট্টগ্রাম প্রতিদিন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৪
‘প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে না জানলে ভুল পথে যাবে কিশোর-কিশোরিরা’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে অবগত না থাকলে কিশোর-কিশোরিদের ভুল পথে পরিচালিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে বলে চট্টগ্রামে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে মত এসেছে।

বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার একটি বড় অংশের বয়স ১৪ বছরের নিচে।

এদের অধিকাংশই যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্য সম্পর্কে অবগত নন। তারা জীবন দক্ষতা অর্জনের সুস্থ সুযোগ থেকেও বঞ্চিত।
তাই তাদের ভুল পথে পরিচালিত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি।

বিএনপিএস’র যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার শিক্ষা কর্মসূচি ‘বয়স যখন দশ থেকে উনিশ’ শীর্ষক শিখন সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেছেন।  

পটিয়ায় আনন্দননগর কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএনপিএস’র চট্টগ্রাম কেন্দ্র ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ফেরদৌস আহম্মদ।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পটিয়ার পৌর মেয়র অধ্যাপক মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ, উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম পরিচালক ও গবেষক শরীফ শমশির, বিএনপিএস‘র কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী সঞ্জয় মজুমদার, পটিয়া উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাজেদা বেগম শিরু, কেলিশহর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অরুন কুমার মিত্র, গৈড়লা কে পি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহীদুল ইসলাম, রতনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন, হাইদগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রণধীর দেবনাথ, শিক্ষক শ্যামল কান্তি দে, হাছিনা আকতার, অভিভাবক শিল্পী মিত্র, মুন্নি নন্দী।

অনুষ্ঠানে বক্তারা আরও বলেন, বিএনপিএস পরিচালিত যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষা কিশোর-কিশোরীদের অনাকাঙ্খিত ঝুঁকি থেকে বাঁচাবে।

এর আগে বিএনপিএস পটিয়ায় মাধ্যমিক পর্যায়ে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এতে ৫টি বিদ্যালয়ের ১০জন শিক্ষার্থী অংশ নেন।

প্রতিযোগিতায় কেলিশহর উচ্চ বিদ্যালয়ের জয়শ্রী দে প্রথম, গৈড়লা কে পি উচ্চ বিদ্যালয়ের ইসরাত জাহান দ্বিতীয় এবং হাইদগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের অর্মিলু বিশ্বাস তৃতীয় হন।

দাতা সংস্থা অক্সফাম নোভিবের অর্থায়নে বিএনপিএস এ প্রকল্পটি পরিচালনা করছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯,২০১৩

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।