ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সিইসি ও সংশ্লিষ্টদের বিচার বিশেষ ট্রাইব্যুনালে: খসরু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০১৬
সিইসি ও সংশ্লিষ্টদের বিচার বিশেষ ট্রাইব্যুনালে: খসরু ছবি: সোহেল সরওয়ার- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়ার অপরাধে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও সংশিষ্টদের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার করা হবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন নগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

মঙ্গলবার বিকেলে কাজির দেউড়ি নুর আহম্মদ সড়কে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।

৫ জানুয়ারিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ আখ্যা দিয়ে এ সমাবেশের আয়োজন করে নগর বিএনপি।

সরকার জনগণের কাছে যেতে রাজি নয় অভিযোগ করে তিনি বলেন, সত্যিকার অর্থে ভোট হলে আওয়ামী লীগ তৃতীয় অবস্থানে থাকবে।
তাই তারা জনগণের কাছে যেতে রাজি নয়। এজন্য নতুন ধারার নির্বাচন তৈরি করছে। সরকারি কিছু আমলা, পুলিশ-র্যাব-বিজিবি’র একটি অংশ সহযোগিতা করছে। এতে সভাপতিত্ব করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন।

তারা মানুষের ভোট ভুলে যাওয়ার প্রকল্প হাতে নিয়েছেন অভিযোগ করে আমীর খসরু বলেন, সে আশায় তারা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চাইছে। যতই কারসাজি করুক না কেন বাংলাদেশে মানুষ ভোট ভুলে যাবে না।

‘এখন যেভাবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে সেখাবে মানুষের ভোট কেড়ে নেওয়ার প্রকল্পে জড়িতদের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার হবে। । আমরা তালিকা করছি। একজন একজন করে বিচার হবে। কেউ পার পাবে না। আমরা জানি কোন কোন পুলিশ অফিসার সিটি ও পৌর নির্বাচনে ব্যালট বাক্স ভর্তি করেছে। তাদের তালিকা হচ্ছে। যেসব সন্ত্রাসী কেন্দ্র দখল করেছে তাদেরও বিচার হবে। ’

সাংবাদিকরা এখন আর স্বাধীনভাবে লিখতে পারছে না মন্তব্য করে আমীর খসরু বলেন,‘সংবাদ সেন্সর হচ্ছে। সরকার যেভাবে বলছে সেখাবে লিখতে হচ্ছে। সরকারকে
কিভাবে ক্ষমতায় রাখা যায় সে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে সাংবাদিকদের। ’

নগর বিএনপির সভাপতি বলেন, দেশে আইনের শাসন নেই। সরকার যেভাবে বলছে সেভাবে বিচার হচ্ছে। সরকার ও জনগণের জন্য আইন আলাদা হয়ে গেছে।

সরকার ক্ষমতায় থাকতে একটার পর একটা অন্যায় করে যাচ্ছে। গণতন্ত্রের কথা বলছে অথচ ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করেছে।

এক বছর পর বড় কোন সমাবেশ করলো নগর বিএনপি। সমাবেশ শুরুর আগে থেকেই নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা থেকে মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে আসতে থাকে নেতা-কর্মীরা। সমাবেশের মূল পর্ব শুরুর আগেই জনসমুদ্রে পরিণত হয় নূর আহম্মদ সড়ক এলাকা।

উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে সভাপতির বক্তব্যে নগর বিএনপির সহসভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, সমাবেশে জমায়েত হয়ে আপনারা বাঁধ ভেঙে দিয়েছেন।
সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, যেখানে জনগণ স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারে না সেই গণতন্ত্র আমরা চাই না।

তিনি বলেন, পুলিশ সমাবেশের অনুমতি দিয়ে আমাদের প্রতি করুণা করেনি। সভা-সমাবেশ করা আমার সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার।

দেশের মানুষ দুই ভাগে বিভক্ত দাবি করে তিনি বলেন, একদিকে দেশের সাধারণ নাগরিক অন্যদিকে গুটি কয়েক ক্ষমতার পাচাঁটা কুকুর। আমাদের আন্দোলন গণতন্ত্র হত্যাকারী লুটেরাদের বিরুদ্ধে। এখন প্রশাসনকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কার পক্ষে যাবে।

সাবেক হুইপ সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম বলেন, সরকার গণতন্ত্রের লেবাস নিয়ে অত্যাচার নির্যাতন চালাচ্ছে। প্রশাসনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এ সরকার শেষ সরকার নয়।

সরকার জোর করে ক্ষমতায় থাকতে চায় অভিযোগ করে তিনি বলেন, মানুষ বুঝে গেছে সরকার জোর করে ক্ষমতায় থাকতে চায়। কিন্তু তা অসম্ভব।

নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা.শাহাদাত হোসেন বলেন, দেশ থেকে গণতন্ত্র আজ নির্বাসিত। গণতান্ত্রিক, সাংবিধানিক ও ভোটের অধিকার নেই। আছে কেবল দুর্নীতি, খুন, ঘুষ, জুলুম আর নির্যাতন।

সমাবেশ অন্যান্যের মধ্যে কেন্দ্রিয় বিএনপির সদস্য মাহবুবুর রহমান শামীম, চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিন, যুবদলের কেন্দ্রিয় সদস্য ইয়াছিন চৌধুরী লিটন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৬
এমইউ/টিসি  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।