ঢাকা, সোমবার, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০২ জুন ২০২৫, ০৫ জিলহজ ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বঙ্গবন্ধুর মতো হৃদয় নিয়ে কাজ করছেন শেখ হাসিনা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:৫৩, ডিসেম্বর ৯, ২০১৬
বঙ্গবন্ধুর মতো হৃদয় নিয়ে কাজ করছেন শেখ হাসিনা ছবি: সোহেল সরওয়ার, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

দেশের উন্নয়ন ও মঙ্গলযাত্রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো বিশাল হৃদয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

চট্টগ্রাম: দেশের উন্নয়ন ও মঙ্গলযাত্রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো বিশাল হৃদয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

শুক্রবার (০৯ ডিসেম্বর) বিকেলে এমএ আজিজ স্টেডিয়াম চত্বরে বিজয় শিখা প্রজ্বালনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার ‘বিজয় মঞ্চের’ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের সার্বক্ষণিক লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে। আশা করি, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদ নিষ্ঠার সাথে এই পবিত্র কর্তব্য পালনে অগ্রবর্তী বাহিনীর ভূমিকা পালন করবে।

জাতীয় ও বিজয় মেলার পতাকা উত্তোলনসহ বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। সভাপতিত্ব করেন বিজয় মেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী।

মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা পরবর্তী দীর্ঘ ২১ বছর বাংলাদেশকে পরিকল্পিতভাবে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল। ইতিহাস বিকৃতির মধ্যে দিয়ে নতুন প্রজন্মকে বিপথগামী করা হয়েছিল। আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই মুক্তিযুদ্ধকালীন জিয়াউর রহমান মনপ্রাণ থেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলেন না। তাকে করলডেঙ্গা পাহাড় থেকে ডেকে এনে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করানো হলেও তিনি নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে বক্তব্য পাঠ করেন। পরে আমাদের দাবির মুখে তিনি সেই ঘোষণাটি প্রত্যাহার পূর্বক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে ২৭ মার্চ বিকেলে ওই ষোষণাপত্রটি সংশোধনের মাধ্যমে নতুন করে পাঠ করতে বাধ্য হন। স্বাধীনতার প্রথম ঘোষণাটি পাঠ করেছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এমএ হান্নান। এই সত্যটিকে ঢেকে দেওয়ার জন্য ইতিহাসের বিকৃতি যারা ঘটিয়েছেন তাদের ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আজ গরিব দেশ নয়, শেখ হাসিনার রূপকল্প ২১ ও ৪১ ধারণা বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। এই শুভবার্তার মধ্যে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা ২৮তম বর্ষে পদার্পণে সবার সহযোগে পরিপূর্ণ হোক।

এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা দুর্বিনীত দুঃসময়ে বাংলাদেশের জেগে ওঠার শক্তি হিসেবে গর্জে উঠেছিল। এই বিজয় মেলা শুধু আনুষ্ঠানিক আয়োজন নয় জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, মাদক ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে বাঙালি জাতিসত্তার মুক্তমঞ্চ। এই মঞ্চ শুধু বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে নয় সাংবাৎসরিক কার্যক্রম ও অভিযান অব্যাহত রাখবে। আজ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি তারা পিতার রক্তে উত্তরাধিকারী হিসেবে এই বিজয় মঞ্চে যুক্ত হয়েছে। তাদেরকে সাথে নিয়ে বাঙালি জাতিসত্তার বিজয়ের কাফেলা এগিয়ে যাবে।

এমএ আজিজ স্টেডিয়ামস্থ বিজয় শিখা চত্বরে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় শিখা প্রজ্বালন শেষে বিজয় মঞ্চে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার মহাসচিব মোহাম্মদ ইউনুছের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের কো-চেয়ারম্যান বদিউল আলম।

এসময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক রাষ্ট্রদূত নুরুল আলম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক এমএ সালাম, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের মহাসচিব আহমেদুর রহমান ছিদ্দিকী, চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হাসিনা মহিউদ্দিন প্রমুখ।

পরে বিজয় মঞ্চে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। শেখ শহিদুল আনোয়ার ও তপন বড়ুয়ার পরিচালনায় উদ্দীপনামূলক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

শনিবার (১০ ডিসেম্বর) বিজয় মঞ্চে স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৬

এআর/টিসি          

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।