বাতিঘরে সংস্কৃতি সচিবের সঙ্গে ছিলেন উপ সচিব অসীম কুমার দে ও নজরুল ইসলাম, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাবরিনা রহমান বাঁধন। বাতিঘরের স্বত্বাধিকারী দীপঙ্কর দাশ অতিথিদের স্বাগত জানান।
আকতারী মমতাজ বলেন, মুসলিম ইনস্টিটিউট কেন্দ্রিক সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সের নকশায় প্রচুর ওপেন স্পেস ডিমান্ড করে। কিন্তু সরকারের অনুমতি ছাড়াই মুসাফিরখানা মার্কেট, দোকানসহ নানা স্থাপনা গড়ে তোলায় জায়গাটি সংকুচিত হয়ে গেছে।
সরকার সংস্কৃতির উন্নয়নে আন্তরিকভাবে কাজ করছে জানিয়ে সংস্কৃতি সচিব বলেন, ৪৯০টি উপজেলা সংস্কৃতি কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে। যেখানে প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, গ্রন্থাগার, মুক্তমঞ্চ ইত্যাদি থাকছে। ইতিমধ্যে ৬০টি কেন্দ্রের জন্য জমি পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, জাতির মেধা ও মনন গঠনের জন্য সরকারি লাইব্রেরির বই বেসরকারি লাইব্রেরিতে ধার দেওয়ার একটি সিস্টেম ডেভেলপ করছি আমরা। শিগগির অফিস আদেশ দেব। যাতে দু-এক মাসের জন্য অনেক বই একসাথে ধার নিতে পারে। এমনিতে সরকারি লাইব্রেরিগুলোতে দেখেছি চাকরিপ্রার্থীদের ভিড় বেশি। বেসরকারি লাইব্রেরিগুলোকে বই, নগদ টাকা ও গ্রন্থাগারিকের প্রশিক্ষণ দিয়ে মান উন্নত করার কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। আমরা জ্ঞানের চর্চা বাড়াতে চাই। বইয়ের পাঠক বাড়াতে চাই। সমৃদ্ধ জাতি গড়তে চাই।
বাতিঘর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাতিঘরের অনেক সুনাম রয়েছে। প্রথমবার দেখতে এলাম। বই নিয়ে চমৎকার আয়োজন। সিঙ্গাপুরে বহুতল বুক শপ দেখেছি। যেখানে বাচ্চাদের জন্য প্লে জোন, টয়’স শপ, স্টেশনারি, কফি কর্নার রয়েছে। এখানেও অনেক সুন্দর আয়োজন রয়েছে। যারা বই কিনছে না তারাও বসে পড়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
ই-বুক প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বইয়ের হার্ড কপি হাতে নিলে যে ফিলিংস তা ই-বুকে পাওয়া যায় না। যখন হাতের কাছে হার্ড কপি পাই না তখন ই-বুক পড়ি। বিশেষ করে বিদেশি বইগুলো ডাউনলোড করে পড়ি। আমার ছেলেরা ডিজিটাল বই, অনলাইনের দিকে বেশি ঝুঁকছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৭
এআর/টিসি