ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে ‘লেদার ভিলেজ’ হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১৭
চট্টগ্রামে ‘লেদার ভিলেজ’ হবে ‍উন্নয়ন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা। ছবি: সোহেল সরওয়ার-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে একটি ‘লেদার ভিলেজ’ গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) পবন চৌধুরী।সোমবার (৯ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রামে উন্নয়ন মেলার উদ্বোধনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের অনুশীলন মাঠে চলছে তিন দিনব্যাপী এই মেলা।

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এ মেলা সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও সোমবার থেকে শুরু হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পবন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা চট্টগ্রামকে বদলে দিতে চাই।

বিভিন্ন কারণে অনেক ব্যবসায়ী চট্টগ্রাম ছেড়ে চলে গেছেন। আমরা আবারও তাদের চট্টগ্রামমুখী করতে চাই।

এক সময় লেদার শিল্পে চট্টগ্রামের উল্লেখযোগ্য অবদান ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে চট্টগ্রামে মাত্র দুটি লেদার প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আমরা আবার চট্টগ্রামে লেদার শিল্পের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে চাই। ইতিমধ্যে বিদেশি প্রতিষ্ঠান এজন্য আগ্রহ দেখিয়েছে। আমরা তাদের ৩০০ খেকে ৫০০ একর জায়গা দেব। সেখানে হবে লেদার ভিলেজ।

পবন চৌধুরী চট্টগ্রামের উন্নয়নে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন কর্মযজ্ঞের কথা তুলে ধরে বলেন, আমরা দেশে ১০০টা অর্থনৈতিক অঞ্চল করতে চাচ্ছি। এর সিংহভাগই হবে চট্টগ্রামে। বর্তমানে আনোয়ারায় অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে। মিরসরাইয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে। আর মাত্র দুটো বছর অপেক্ষা করুন। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হলে এই অঞ্চলের দু’লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। উন্নয়ন মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখছে দর্শনার্থীরা

তরুণদের কর্মসংস্থানের অভাবই সব সমস্যার মূল উল্লেখ করে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, প্রতি বছর ২৫ লাখ তরুণ জবমার্কেটে প্রবেশ করে। এর মধ্যে দুই থেকে তিন লাখ তরুণের চাকরি হচ্ছে। বাকি ২২-২৩ লাখ তরুণ বেকার থেকে যায়। তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা গেলেই সব সমস্যার সমাধান হবে। বর্তমান সরকার সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে। কোনো তরুণ যাতে বেকার না থাকে এজন্য কর্মসংস্থানের পরিধি বাড়ানো হচ্ছে।

উদ্বোধনী দিনে জেলা প্রশাসক মো. সামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিভাগীয় কমিশনার মো. রুহুল আমিন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোহা. শফিকুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার নূর এ আলম মিনা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম জেলা কমান্ডার সাহাব উদ্দিন, নগর কমান্ডার মোজাফফর আহমেদ।

এর আগে মেলা উপলক্ষে সকাল নয়টায় নগরীর সার্কিট হাউস থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি মেলা প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।

মেলায় ৯৫টি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ১০৭টি স্টল অংশ নিচ্ছে। মেলায় নিজেদের প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন উন্নয়ন সামগ্রী নিয়ে হাজির হয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা। এসব স্টলে দর্শকদের ভিড় দেখা গেছে।

উন্নয়ন মেলায় সোনালী ব্যাংকের স্টল
তাদেরই একটি সোনালী ব্যাংক লিমিটেড। এই ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক এম এ কাইয়ুম তার কর্মীদের নিয়ে স্টলে এসেছেন।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত সর্বৃবৃহৎ বাণিজ্যিক ব্যাংক সোনালী ব্যাংক লিমিটেড। তাই জনসাধারণের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে আছি আমরা। আমাদের প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সেবামূলক কর্মকাণ্ড উপস্থাপন করছি। সবাই আসছে। আমরা আমাদের কার্যক্রম সম্পর্কে তাদের জানাতে চেষ্টা করছি।

প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চলবে। বিকেলে অনুষ্ঠিত হবে সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৭

টিএইচ/আইএসএ/টিসি

**উন্নয়ন মেলা শুরু

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।