ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ফগহর্ন: রেখা-লেখা-রংতুলিতে জীবনের গল্প

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০১৮
ফগহর্ন: রেখা-লেখা-রংতুলিতে জীবনের গল্প ফগহর্ন: রেখা-লেখা-রংতুলিতে জীবনের গল্প। ছবি: সোহেল সরওয়ার, বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: ‘দিদি! হোয়াট আর ইউ ডুয়িং ইন মাই ল্যাবরেটরি?’ একটি শিল্পকর্মে চোখ আটকে গেল। শিল্পী যেন রেখা-লেখা-রংতুলিতে বলছেন জীবনের গল্প। এখানেই শেষ নয়, আরেকটি এগোতেই কালারফুল একটি শিল্পকর্ম, যেখানে আফ্রিকান মেয়েরা ওম্যানস ডে সেলিব্রেশন করছেন।

চারুকলার তিনজন, বুয়েটসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের ছয়জন ও একজন নারীর ৪৫টি শিল্পকর্ম নিয়ে চিটাগাং ক্লাবে শুরু হলো দুই দিনের ব্যতিক্রমী প্রদর্শনী। কনটেম্পরারি আট, ডিজিটাল আর্ট, ট্র্যাডিশনাল আর্ট আর স্কেচ স্থান পেয়েছে প্রদর্শনীতে।

 

শিল্পীরা হলেন রুথবা ইরতেজা, ইয়াফিজ সিদ্দিকি, সিফাতুল আলম, ফাইরুজ নাজিফা, শারমিন রহমান, মারুফ আদনান, রিয়াদ মাহমুদ, লুবাইসু চৌধুরী, অধরা ফারদিন ও আনিকা তাবাসসুম।

শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সকালে চিটাগাং ক্লাব লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান আল সাদাত দোভাষ সাগর ‘ফগহর্ন: অ্যান আনবাউন্ড আর্ট এপিসোড’ শিরোনামের এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।

সানজিদা তান্নির সঞ্চালনায় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রদর্শনীর পৃষ্ঠপোষক আইপিডিসির ব্রাঞ্চ ম্যানেজার অনির্বাণ সরকার।

ফগহর্ন: রেখা-লেখা-রংতুলিতে জীবনের গল্প।  ছবি: সোহেল সরওয়ার, বাংলানিউজ

প্রদর্শনীর নামকরণ প্রসঙ্গে সানজিদা বলেন, ঘন কুয়াশার মধ্যে যেমন জাহাজ ফগহর্ন বাজিয়ে সংকেত দিয়ে থাকে তেমনি আমরা এ প্রদর্শনীর মাধ্যমে ইনস্টিটিউটের বাইরে যেসব তরুণ-তরুণী শিল্পচর্চা করছে সেইসব মেধাবী মুখ ও তাদের শিল্পকর্ম একত্রিত করতে চেয়েছি। চট্টগ্রাম দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরের শহর হিসেবে নামটি বেশ যুথসই হয়েছে। এটি চট্টগ্রামে এ ধরনের শোকেসের প্রথম উদ্যোগ।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে মাস্টার্স করছেন আনিকা তাবাসসুম। বললেন, চারুকলার শিক্ষার্থী না হলেও শিল্পকর্ম খুব টানে আমাকে। ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন মোটিভ বের করে আমি নিজে চর্চা করি। এবারই প্রথম প্রদর্শনীতে দর্শকের মুখোমুখি হওয়া। ভালো লাগছে প্রশংসাবাক্য শুনে।

রফিকুল ইসলাম বাবুলের মেয়ে ফাইরুজ নাজিফা। পড়েন ঢাকা আইইউবিতে চতুর্থ সেমিস্টারে। বললেন, পড়াশোনার ফাঁকে মেয়ে নিজে নিজে ছবি আঁকে। এবারই প্রথম তার ছবি দেখলাম। বাবা হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে হচ্ছে।

ফাইরুজও বেশ উৎফুল্ল। বললেন, আমি পড়ি মিডিয়া কমিউনিকেশনে। তিন বছর ধরে মনের আনন্দে ছবি আঁকি। শিল্পকর্ম গড়ি। এ পর্যন্ত ২০টি ছবি কমপ্লিট করেছি। বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছি।

উদ্বোধনের পর প্রদর্শনীর শিল্পকর্মগুলো দেখেন আল সাদাত দোভাষ সাগর। প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ইনস্টিটিউটের বাইরে যারা শিল্পকর্ম তৈরি করেন তাদের প্রদর্শনীর সুযোগ চট্টগ্রামে নেই বললেই চলে। এতে তারা হতাশায় ভোগেন। এক্ষেত্রে ‘ফগহর্ন’ প্রথম উদ্যোগ। এটি চট্টগ্রামকে ব্রান্ডিং করবে। দেশ-বিদেশের অতিথি ও পর্যটকদের আকৃষ্ট করবে। আশাকরি, আগামী দিনে এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।    

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৮

এআর/টিসি

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।