ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘এসএ পরিবহনে’ ইয়াবা পাচার, পুলিশের জালে ৩

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৮
‘এসএ পরিবহনে’ ইয়াবা পাচার, পুলিশের জালে ৩ এসএ পরিবহনের মাধ্যমে ইয়াবা পাচারের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া তিনজন

চট্টগ্রাম: এসএ পরিবহনসহ বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে দেশের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ইয়াবা পাচার করছে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা। আর এতে ব্যবহার করছে অভিনব কৌশল। কখনও গাড়ির যন্ত্রাংশ, কখনও ইঞ্জিন, কখনও খাবার এসবের ভেতর করে পাচার করা হচ্ছে ইয়াবা।

সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) ও মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম নগর ও ঢাকায় অভিযান চালিয়ে এমন একটি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতার হওয়া তিনজন হলেন- সাখাওয়াত হোসেন রবিন (২৬), জাহিদুল ইসলাম শিবলু (৩৩) ও মো. আবদুল কাদের আল মাইনউদ্দিন প্রকাশ রাজু (৩৫)।

এদের মধ্যে সাখাওয়াত হোসেন রবিন ও জাহিদুল ইসলাম শিবলুকে ঢাকার কাকরাইল থেকে সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) এবং পরে তাদের স্বীকারোক্তিতে মো. আবদুল কাদের আল মাইনউদ্দিন প্রকাশ রাজুকে মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে ডবলমুরিং থানার দাইয়াপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে বাংলানিউজকে জানান ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জহির হোসেন।

যেভাবে পুলিশের জালে তারা

২১ ডিসেম্বর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ধনিয়ালাপাড়া এসএ পরিবহনের গুদাম থেকে ৩ হাজার ৫০০ পিস ইয়াবাসহ একটি সাব-মার্সিবল পাম্প জব্দ করে ডবলমুরিং থানা পুলিশ।

সাব-মার্সিবল পাম্পটি ঢাকার কাকরাইল শাখায় পাঠানোর জন্য বুকিং দিয়েছিল দুই যুবক। প্রেরক হিসেবে এন্ট্রি করা হয়েছিল রবিন নাম ও প্রাপক হিসেবে এন্ট্রি করা হয়েছিল রিপন নাম।

পরে এসএ পরিবহন থেকে বুকিংকারীর তথ্য ও সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ।

২৪ ডিসেম্বর ডবলমুরিং থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুবীর পালের নেতৃত্বে একটি টিম এসএ পরিবহনের কাকরাইল শাখায় অবস্থান নিয়ে পার্সেলে উল্লেখ করা গ্রহণকারীর নাম্বারে কল দিয়ে পার্সেল নিতে আসতে বলে। পার্সেল নিতে আসলে সাখাওয়াত হোসেন রবিন ও জাহিদুল ইসলাম শিবলুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ইয়াবা পাচারে ব্যবহার হওয়া সাব-মার্সিবল পাম্পপুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ মিলিয়ে দেখে, দেওয়ানহাটে এসএ পরিবহনের শাখায় পার্সেল বুকিং দিতে এসেছিলেন সাখাওয়াত হোসেন রবিন নিজেই।

পরে সাখাওয়াত হোসেন রবিনের স্বীকারোক্তিতে দাইয়াপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় মো. আবদুল কাদের আল মাইনউদ্দিন প্রকাশ রাজুকে।

পুলিশ কর্মকর্তা মো. জহির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘সাখাওয়াত হোসেন রবিন নিজেই চট্টগ্রামে এসএ পরিবহনে পার্সেল বুকিং দিয়েছিলেন এবং ঢাকায় গ্রহণ করতে গিয়েছিলেন। ’

তিনি বলেন, ‘একই কয়দায় সাখাওয়াত হোসেন রবিন ১৯ ডিসেম্বর কক্সবাজার থেকে এসএ পরিবহনের মাধ্যমে ইয়াবাগুলো চট্টগ্রামে পাঠান। পরে ২১ ডিসেম্বর দেওয়ানহাট এলাকায় এসএ পরিবহনের শাখা থেকে সেই পার্সেল গ্রহণ করে ঢাকার কাকরাইল শাখায় পাঠানোর জন্য আবার পার্সেল বুকিং দেন। ’

মো. জহির হোসেন, ‘এসএ পরিবহনসহ বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে সাখাওয়াত হোসেন রবিন ও তার সহযোগীরা ইয়াবা এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় পাচার করে। কখনও গাড়ির যন্ত্রাংশ, কখনও ইঞ্জিন, কখনও খাবার এসবের ভেতর করে পাচার করে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। ’

সাখাওয়াত হোসেন রবিনের বিরুদ্ধে ডবলমুরিং ও সদরঘাট থানায় তিনটি মাদক মামলা ও মো. আবদুল কাদের আল মাইনউদ্দিন প্রকাশ রাজুর বিরুদ্ধে একটি মাদকের মামলা রয়েছে বলে তথ্য দেন পুলিশ কর্মকর্তা মো. জহির হোসেন।

বাংলাদেশ সময়: ২২৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৮
এসকে/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।