ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ঠেকাতে উস্কানি দিচ্ছে কিছু এনজিও

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৯
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ঠেকাতে উস্কানি দিচ্ছে কিছু এনজিও বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

চট্টগ্রাম: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ঠেকাতে কিছু এনজিও এবং তাদের কর্মকর্তারা উস্কানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, রোহিঙ্গারা এখানে থাকলে এনজিও’র ফান্ড আসে। ফান্ড পেয়ে এসব এনজিও হৃষ্টপুষ্ট হয়। এ কারণেই তারা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চায় না।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে নগরের জে এম সেন হলে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আয়োজিত ধর্ম মহাসম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ২২ আগস্ট রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন স্থগিত ঘোষণার কিছু সময় আগে এনজিওদের একটি অ্যালায়েন্স বিবৃতি দিয়েছে।

তাদের দাবি মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ফেরার পরিবেশ তৈরি হয়নি। তারা এ বিষয়ে রোহিঙ্গাদের প্ররোচনাও দিয়েছে।
রোহিঙ্গাদের উস্কানি দিয়েছে, যাতে তারা নিজ দেশে ফিরে না যায়।

‘সরকার এসব উস্কানিদাতাদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছিলেন। ১১ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসলেও এখন তা বেড়ে ১২ লাখে দাঁড়িয়েছে। তাদের কারণে উখিয়া টেকনাফের পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। স্থানীয় জনগণই এখন সেখানে সংখ্যালঘু।

তিনি বলেন, স্থানীয়রা প্রথমে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে নানাভাবে সহায়তা করেছিলেন। কিন্তু এখন রোহিঙ্গারা অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। ইয়াবাসহ নানা ধরণের মাদক পাচার করছে। সেখানকার সামাজিক পরিবেশ নষ্ট করছে। এসব কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা রোহিঙ্গাদের উপর চরম বিরক্ত।

শিগগির রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর আশা প্রকাশ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, রোহিঙ্গারা যাতে নিজ দেশে ফিরে যায় সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে কূটনৈতিক তৎপরতাসহ নানা উদ্যোগ চলমান আছে। তবে মিয়ানমারকেই মূল পদক্ষেপ নিতে হবে। নিরাপত্তা নিয়ে রোহিঙ্গাদের মাঝে যে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে সেটি দূর করতে হবে।

সংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের আগে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আয়োজিত ধর্ম মহাসম্মেলনে বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

এ সময় তিনি বলেন, সকল ধর্মের মর্মবাণী হচ্ছে মানুষের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি করা। বাংলাদেশ রচিত হয়েছিল মুসলিম হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান সবার রক্তের স্রোতের বিনিময়ে। এ দেশে কোনো সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন- ধর্ম যার যার উৎসব সবার। কিন্তু দেশে একটি গোষ্ঠী আছে যারা ধর্মীয় পরিচয়কে মূখ্য পরিচয় হিসেবে তুলে ধরতে চান। সেখানেই আমাদের সঙ্গে তাদের পার্থক্য।

জাতীয় জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সহ সভাপতি বাবুন ঘোষ বাবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন রাউজান পৌরসভার মেয়র দেবাশীষ পালিত, জন্মাষ্টমী পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন তালুকদার।

ধর্ম মহাসম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন জন্মাষ্টমী পরিষদ জাতীয় পরিষদের সভাপতি গৌরাঙ্গ দে, সাধারণ সম্পাদক বিমল দে, হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি রাখাল দাশ গুপ্ত, জন্মাষ্টমী পরিষদ চট্টগ্রাম নগরের সদস্য সচিব রত্নাংকর দাশ টুনু, কৈবল্যধামের মোহন্ত মহারাজ অশোক কুমার চট্টোপাধ্যয়, অ্যাডভোকেট তপন কান্তি দাশ প্রমূখ।

বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৯
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।