ঢাকা, রবিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পৃথিবীর আলো দেখতে পেলো ১৫ শিশু

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৯
পৃথিবীর আলো দেখতে পেলো ১৫ শিশু ...

চট্টগ্রাম: ইয়াসমিন বিবির বয়স মাত্র ৫ মাস। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জন্ম নেওয়া শিশুটি জন্মগতভাবে অন্ধ। চোখে ছানির কারণে দেখতে পাচ্ছিল না সে। অবশেষে রঙিন পৃথিবীর আলোয় আলোকিত হলো তার জীবন।

অরবিস ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালে ইয়াসমিন বিবিসহ ১৫ জন বাংলাদেশে আশ্রয়প্রার্থী রোহিঙ্গা ও কক্সবাজারের স্থানীয় শিশুর অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। অস্ত্রোপচারের পর মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে চোখের বাঁধন খুললে ১০ রোহিঙ্গা ও ৫ জন স্থানীয় শিশু স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি ফিরে পায়।

তারা হলো-রোহিঙ্গা শিশু মো. এরফান (১২), মো. সাদেক (৩), লালু (৩.৫), এনায়েত উল্লাহ (১০), শহীদা বেগম (২), তাসমিনা তারা (৬), মো. সাহেদ (২), আতাউল্লাহ (১২), সালমান (৩) এবং কক্সবাজারের স্থানীয় শিশু মোস্তফা  (১২), মো. তারেক (৭), রফিক আলম (১১), রবিউল (১০) ও মোবিন (২)।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) থেকে অস্ত্রোপচার শুরু হয়েছিল তাদের।

রোহিঙ্গা শিবিরের আশপাশের হাসপাতালে চোখের অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা না থাকায় চক্ষু হাসপাতালে গত বছরের নভেম্বর থেকে চালু হওয়া এ কার্যক্রমে এ পর্যন্ত ৪০ জন রোহিঙ্গা ও স্থানীয় শিশুর অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়।

 কাতার ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্টের (কিউএফএফডি) সহায়তায় অরবিস ইন্টারন্যাশনাল বাস্তবায়িত ‘কাতার ক্রিয়েটিং ভিশন (কিউসিভি) এক্সপান্ডিং আই কেয়ার ইন সাউথ ইস্ট বাংলাদেশ’ প্রকল্পের আওতায় এ অস্ত্রোপচারে টেকনিক্যাল সার্পেট দিচ্ছে চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল।

অস্ত্রোপচার করেন চক্ষু হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের ডা. মেরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া। সহযোগিতায় ছিলেন প্রোগ্রামের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর নিলুফা ইয়াসমিন, এমআইএস মকবুল হোসেন, অপটোমেট্রিস্ট মো. আব্দুল আউয়াল শাহ ও জামিল উদ্দিন বাপ্পি।

এর আগে চক্ষু চিকিৎসার জন্য অরবিস পরিচালিত বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গা শিশুদের এবং নিয়মিত স্কুল সাইট টেস্টিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে স্থানীয় শিশুদের চোখ পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ক.বা.শ হাসপাতালে এবং অস্ত্রোপচারের জন্য চটগ্রাম চক্ষু হাসপাতালে পাঠানো হয়।   অস্ত্রোপচারের পর দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়ায় শিশুদের বাবা-মা ছিলেন খুশি।

এ প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যে ১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা ও স্থানীয় শিশুর চোখ পরীক্ষার পাশাপাশি প্রায় ৮ হাজার শিশুকে চশমা দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৯
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।