শুক্রবার (১২ জুন) জুমার নামাজের পর নগরের ষোলশহর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তির মরদেহ বহনের জন্য অ্যাম্বুলেন্সটি গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশকে হস্তান্তর করে আলম-আনোয়ারা ফাউন্ডেশন।
আনজুমান-এ রাহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুহাম্মদ মহসিনের হাতে ফাউন্ডেশনের পক্ষে চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুব আলম ও তার ছোট ভাই চেম্বারের সাবেক পরিচালক আলমগীর পারভেজ অ্যাম্বুল্যান্সের চাবি তুলে দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আনজুমান-এ রাহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি গিয়াস উদ্দিন সাকের, গাউসিয়া কমিটির মহাসচিব শাহজাদা ইবনে দিদার, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতেয়ার, নগর গাউসিয়া কমিটির সদস্যসচিব সাদেক হোসেন পাপ্পু, মনোয়ার হোসেন মুন্না, এরশাদ খতিবী, লাশ দাফন-কাফন সেবা কার্যক্রমের টিম সদস্য মাহফুজুর রহমান, আহসান হাবিব, হামিদুর রহমান ও আবদুল করিম সেলিম ।
আলম-আনোয়ারা ফাউন্ডেশনের পক্ষে দৈনিক পূর্বদেশের সহকারি সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল উপস্থিত ছিলেন।
অ্যাম্বুলেন্সটি করোনাকালীন গাউসিয়া কমিটির স্বেচ্ছাসেবক টিমের যারা মরদেহ দাফন-কাফন ও জানাজার ব্যবস্থা করছেন তারা লাশ বহনে ব্যবহার করবেন।
আনজুমান-এ রাহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের নির্দেশনায় গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পরিষদ গত মার্চে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারীদের মরদেহ দাফন-কাফনের সিদ্ধান্ত নেয়। এ জন্য কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পদক মোছাহেব উদ্দিন বখতেয়ারকে সমন্বয়ক করে সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও তদারকি কমিটি এবং মহানগর সদস্যসচিব সাদেক হোসেন পাপ্পুকে টিম প্রধান করে পাঁচ শতাধিক প্রশিক্ষিত কর্মীর বড় একটি টিম মরদেহ দাফন-কাফনের কার্যক্রম শুরু করে। সংগঠনটির হিসাব অনুযায়ী এ পর্যন্ত ১৮৩টি মরদেহ দাফন ও কাফনের ব্যবস্থা করেছে এ টিম। কিন্তু তাদের কোনো অ্যাম্বুলেন্স না থাকায় এ কার্যক্রমের গতি পাচ্ছে না এমন সংবাদ পেয়ে চেম্বারের সভাপতি মাহবুব আলম ও তার ভাই আলমগীর পারভেজ তাদের পিতা-মাতার নামে গঠিত আলম-আনোয়ারা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এ অ্যাম্বুলেন্সটি দিয়েছেন।
মোছাহেব উদ্দিন বখতেয়ার বাংলানিউজকে জানান, চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা ছাড়াও ঢাকা এমনকি নীলফামারীতেও গাউসিয়া কমিটি করোনায় মারা যাওয়া রোগীদের দাফন করেছে। গত ১৩ এপ্রিল পটিয়ায় এক কিশোরকে দাফনের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু করি আমরা। কয়েক দিন ধরে প্রতিদিন ৮-৯টি মরদেহ দাফন করছি চট্টগ্রামে। গত ২ জুন একদিনে ১১ জনকে দাফন করেছি আমরা। অ্যাম্বুল্যান্স যুক্ত হওয়ায় রাতবিরাতে দ্রুত মরদেহ দাফনে গতি আসবে ইনশাআল্লাহ।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২০
এআর/টিসি