চট্টগ্রাম: দারিদ্রপ্রবণ বৃহত্তর চট্টগ্রামের ২৮টি উপজেলায় বয়স্ক এবং বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা শতভাগ ভাতার আওতায় এসেছেন। সমাজসেবা অধিদফতর তাদের ভাতা দেবে।
যেসব উপজেলা ভাতার আওতায় এসেছে সেগুলো হলো- চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও সন্দ্বীপ; রাঙামাটির বাঘাইছড়ি, বরকল, কাউখালী, বিলাইছড়ি, কাপ্তাই, জুরাছড়ি, লংগদু, নানিয়ারচর, রাজস্থলী; খাগড়াছড়ির দিঘীনালা, গুইমারা, খাগড়াছড়ি সদর, লক্ষীছড়ি, মহালছড়ি, মানিকছড়ি, মাটিরাঙ্গা, পানছড়ি, রামগড়; বান্দরবানের আলীকদম, বান্দরবান সদর, লামা, নাইক্ষ্যংছড়ি, রোয়াংছড়ি, রুমা এবং কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া।
জানা গেছে, শতভাগ ভাতার আওতায় আসা উপজেলার আগ্রহীরা www.bhata.gov.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এছাড়া ইউনিয়ন ও পৌরসভা ডিজিটাল সেন্টার, জাতীয় তথ্য সেবা নম্বর ৩৩৩ (টোল ফ্রি)-এ ফোন করে, উপজেলা/শহর সমাজসেবা কার্যালয়ের সহায়তায় অনলাইনে আবেদন করা যাবে ৩১ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত। আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে এজেন্ট ব্যাংক/মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডারের (নগদ/বিকাশ) মাধ্যমে হিসাব খুলে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের ভাতাভোগীদের ১ম কিস্তির ভাতা বিতরণ করা হবে।
সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর অধীনে ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশের ১৫০টি উপজেলায় ভাতা প্রদান কার্যক্রম গ্রহণ করে সমাজসেবা অধিদফতর। গত অর্থবছরে সর্বাধিক দারিদ্র্যপ্রবণ উপজেলা হিসেবে বান্দরবানের থানচিকে শতভাগ ভাতার আওতায় আনা হয়।
চট্টগ্রাম জেলা সমাজসেবা অফিস সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামে এক লাখ ৮০ হাজার ১০২ জন মাসিক ৫০০ টাকা করে বয়স্ক ভাতা পান। এর মধ্যে জেলার ১৫ উপজেলায় ১ লাখ ৭০ হাজার ৬০ জন এবং মহানগরে ১০ হাজার ৪২ জন। সব মিলিয়ে সরকারের বার্ষিক ব্যয় হয় ১০৮ কোটি ৬ লাখ ১২ হাজার টাকা।
এছাড়া মাসিক ৭৫০ টাকা করে প্রতিবন্ধী ভাতা পান ৫৪ হাজার ৬২ জন। এর মধ্যে ১৫ উপজেলায় ৪৩ হাজার ৬৭৫ জন এবং মহানগরে ১০ হাজার ৩৮৭ জন। তাদের জন্য বার্ষিক ব্যয় হয় ৪৮ কোটি ৬৫ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। মাসিক ৫০০ টাকা করে বিধবা ভাতা পান ৫১ হাজার ৪৩৯ জন। ভাতাভোগী সবাই চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলার। মহানগরে কেউ বিধবা ভাতা পান না। বিধবা ভাতার জন্য চট্টগ্রামে সরকারের বার্ষিক ব্যয় হয় ৩০ কোটি ৮৬ লাখ ৩৪ হাজার টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২১
এসি/টিসি