ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে শহীদ মিনার উদ্বোধন করলেন মেয়র রেজাউল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২২
চট্টগ্রামে শহীদ মিনার উদ্বোধন করলেন মেয়র রেজাউল

চট্টগ্রাম: বিশ্বে একমাত্র বাঙালিই গর্বিত জাতি যারা মায়ের ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন। সব জাতিই চায় মাতৃভাষার স্বীকৃতি।

তাই বিশ্ব সভায় ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এটি বাঙালির একটি মহতী অর্জন।
 

শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংস্কার এবং অধিকতর উন্নয়নের জন্য অস্থায়ীভাবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল ও কলেজ মাঠে নির্মিত বিকল্প শহীদ মিনার উদ্বোধনকালে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী এসব কথা বলেন।  

তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলনের চেতনায় বাঙালি জাতীয়তাবাদ দর্শনের বিকাশ ও ব্যাপ্তি ঘটে। যা পর্যায়ক্রমে স্বাধীকার আন্দোলন এবং সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতিসত্তার অভ্যুদয় ঘটে। এ কারণে শহীদ দিবস ও শহীদ মিনার আমাদের আবেগের জায়গা। এখান থেকে আমরা বার বার প্রতিবাদের ভাষা খুঁজে পাই। তাই এটা প্রগতিশীল ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার পবিত্র তীর্থ কেন্দ্র। আমাদের সংস্কৃতি চর্চার বিকাশের সঙ্গেও এর নিবিড় যোগসূত্র রয়েছে।  

মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের যে নবতরঙ্গের সূচনা করেছেন তাতে ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এই ভাষার মাসে তা রুখে দাঁড়াতে বাঙালিকে আরো বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার শক্তি অর্জন করতে হবে।  

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন একুশ পদকপ্রাপ্ত নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার। বক্তব্য দেন বিএলএফ গ্রুপ কমান্ডার মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমান, প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী ও প্রকল্প পরিচালক উপসচিব লুৎফুর রহমান।  

মোহাম্মদ শহীদুল আলম বলেন, চট্টগ্রামে যে সাংস্কৃতিক বলয় হচ্ছে তার প্রধান অনুষঙ্গ শহীদ মিনার। এই শহীদ মিনারের সংস্কার ও অধিকতর উন্নয়নের নিমিত্তে শহীদ মিনার আপাতত স্থানান্তরিত হলেও অচিরেই তা মূল স্থানে ফিরবে। তবে এই অস্থায়ী শহীদ মিনারটিও বহাল থাকবে।  

মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, বাংলা ভাষা রাষ্ট্রীয় মর্যাদা পেলেও ধীরে ধীরে বাংলার বিলুপ্তি ঘটছে। এটা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নামফলক বাংলায় না লেখার প্রবণতা নিন্দনীয়।  

এই প্রবণতা রোধে চসিক মেয়র যে উদ্যোগ নিয়েছেন তাতে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।  

বাচিক শিল্পী কংকন দাশের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন-কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, আবদুস সালাম মাসুম, গোলাম মোহাম্মদ জোবায়ের, অধ্যাপক মো. ইসমাইল, সলিম উল্লাহ বাচ্চু, মো. আতাউল্লাহ চৌধুরী, পুলক খাস্তসীর, নুর মোস্তফা টিনু, সংরক্ষিত কাউন্সিলর নীলু নাগ, রুমকী সেন গুপ্ত, শাহীন আক্তার রোজী, তসলিমা নুর জাহান, আনজুমান আরা বেগম, হুরে আরা বিউটি, রাজনৈতিক ইন্দুনন্দন দত্ত, জসিম উদ্দিন বাবুল, বেলায়েত হোসেন, সৈয়দ মাহমুদুল হক, মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌস হাফিজ খান, আবুল কাশেম চিশতী, পিনাক্কী দাশ, সাংস্কৃতিক দেওয়ান মাকসুদ, শাহ আলম নিপু, আবুদল হালিম দোভাষ, রাশেদ হাসান, আবু ফরহাদ চৌধুরী সাবু, অধ্যক্ষ সাহেদুল কবির চৌধুরী, রাহুল গুহ, ইকবাল হোসেন, প্রনব দাশ, মিটন, প্রবাল দে, দীপেন চৌধুরী ও নুরুল ইসলাম মোস্তাফিজ প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২২
এআর/টিসি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।