ঢাকা, শুক্রবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সৈয়দ গোলামুর রহমান বাবা ভাণ্ডারীর ওরশ শরীফ

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০২২
সৈয়দ গোলামুর রহমান বাবা ভাণ্ডারীর ওরশ শরীফ ওরশ শরীফে মুনাজাত পরিচালনা করেন  মাওলানা সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী।

চট্টগ্রাম: আল্লাহপাকের রহমত কামনা এবং বিশ্বজুড়ে এই দুঃসময়ে মানুষকে মানবিক দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে গাউছুল আযম হযরত সৈয়দ গোলামুর রহমান বাবাভাণ্ডারী (ক.) এর তিনদিনব্যাপী বার্ষিক ওরশ শরীফ শেষ হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) ফটিকছড়ির মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে লাখো আশেক ভক্ত ওরশ মাহফিলে অংশ নিয়ে মিলাদ, মাজারসমূহ জিয়ারত ও আখেরি মুনাজাতে শামিল হন।

 

হযরত গাউছুল আযম সৈয়দ গোলামুর রহমান বাবাভাণ্ডারী (ক.)’র জীবন কর্মের ওপর আয়োজিত মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন পার্লামেন্ট অব ওয়ার্ল্ড সূফীজ প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান, মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের শাহ্সূফী মাওলানা সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (মাজিআ)।  

তিনি বলেন, মানুষ যখন অশান্তি অবিচার ও জুলুমের প্রান্তসীমায় উপনীত হয়, তখন সাধক বুজুর্গ ওলীদের শরণাপন্ন হয় পরিত্রাণের আশায়।

তাই বর্তমানে নিপীড়িত মানবতার পরিত্রাণ কামনায় ওলী বুজুর্গের প্রদর্শিত দয়া, সহিষ্ণুতা, সম্প্রীতি ও ভালোবাসার শিক্ষা মনে-প্রাণে গভীরভাবে ধারণ করতে হবে। হযরত বাবাভাণ্ডারী (ক.) আজীবন ফরিয়াদী মুক্তিকামী মানুষের কল্যাণে উৎসর্গীত ছিলেন। এ বছর বাবাভাণ্ডারী কেবলার পবিত্র ওরশ শরীফ মাহে রমজানে অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা ভক্ত জনতার জন্য আরও আনন্দের। কারণ পবিত্র মাহে রমজান হলো রহমত নাজাত ও মাগফিরাতের মাস।  

তিনি আরও বলেন, আল্লাহর ওলীগণও আল্লাহর পক্ষ থেকে পাপি-তাপি, গুনাহগার বান্দার নাজাতের উসিলা। সিয়াম সাধনার মাধ্যমে মানুষ আত্মশুদ্ধিই অর্জন করে। আর আউলিয়ায়ে কেরামের দরবারে মানুষকে আত্মশুদ্ধি অর্জনেরই শিক্ষা দেওয়া হয়। এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী অতি লোভে পড়ে দ্রব্যসামগ্রীর দাম বৃদ্ধি ও খাদ্যে ভেজাল মেশায়। এটা ইসলামের দৃষ্টিতে অমার্জনীয় অপরাধ। ব্যবসাকে আল্লাহপাক হালাল করেছেন আর সুদকে করেছেন হারাম। সৎ ব্যবসায়ী হাশরের মাঠে নবী-রাসূল, আউলিয়ায়ে কেরাম ও শহীদ সিদ্দিকীনদের সঙ্গে থাকবেন। অসৎ ব্যবসায়ীদের চির আবাস হবে জাহান্নাম। তিনি রমজানে নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করে মানুষকে কষ্ট না দেওয়ার আহ্বান জানান।

মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন শাহ্জাদা সাইয়্যিদ মেহবুব-এ-মইনুদ্দীন আল্-হাসানী, শাহ্জাদা সাইয়্যিদ মাশুক-এ-মইনুদ্দীন, শাহ্জাদা সাইয়্যিদ হাসনাইন-এ-মইনুদ্দীন। মাহফিলে হযরত বাবাভাণ্ডারীর (ক.) জীবন, কর্ম ও দর্শনের ওপর আলোচনায় অংশ নেন হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের মহাসচিব অ্যাডভোকেট কাজী মহসীন চৌধুরী, ঘিলাতলা দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন হযরত মাওলানা বাকী বিল্লাহ আল আজহারী, মুফতী মাওলানা মাকসুদুর রহমান, খলিফা মাওলানা হাসান মাইজভাণ্ডারী, হযরত মাওলানা রুহুল আমীন ভূঁইয়া চাঁদপুরী, আনজুমান কেন্দ্রীয় সহসভাপতি খলিফা আব্দুল মান্নান, মইনীয়া গণমাধ্যম ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক মহি উদ্দীন, সদস্য সচিব শাহ মো. ইব্রাহিম মিয়া মাইজভাণ্ডারী, মইনীয়া যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আসলাম হোসাইন, অধ্যক্ষ আল্লামা গোলাম মুহাম্মদ খান সিরাজী, আমতল সিদ্দিকীয়া মইনীয়া সুন্নীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা বাকের আনসারী, মাওলানা নঈম উদ্দীন প্রমুখ।

সালাত সালাম শেষে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের মুক্তি এবং দেশ ও বিশ্ববাসীর ওপর আল্লাহর রহমত কামনায় আখেরি মুনাজাত পরিচালনা করেন শাহ্সূফী মাওলানা সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (মাজিআ)। পরে সবার মাঝে তবরুক পরিবেশিত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৫ ঘণ্টা, ৬ এপ্রিল, ২০২২
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।