চট্টগ্রাম: শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, আমরা গাড়ি উ’ৎপাদন করে নেপালে, ভারতে রফতানি করবো সেই বিশ্বাস আছে। ব্যবসায়ীরা শুধু ট্রেডিং করলে হবে না।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে জিইসি কনভেনশন সেন্টারে চট্টগ্রাম মোটর ফেস্ট ২০২২ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে মোটর ফেস্টিভ্যাল ঢাকা শহরে হতে দেখেছি। চট্টগ্রামে পঞ্চমবারের মতো চমৎকার মোটর ফেস্ট আয়োজন। তেমন বেশি দিন আগের কথা নয়, চট্টগ্রাম শহরে আমরা হাতে হাতে গাড়ির সংখ্যা গুনতাম। আজ বাংলাদেশের পঞ্চাশতম বর্ষ। রাস্তার চেয়ে আমাদের দেশে গাড়ির সংখ্যা বেড়ে গেছে। আমাদের মাটি আছে, মানুষ আছে। আমাদের মেধাবী পরিশ্রমী মানুষ দিয়ে আমাদের উর্বর মাটি দিয়ে সোনার বাংলা তৈরি করবো। আমরা কারও অধীনে থাকব না। আমাদের কাউকে শোষণ করতে দেব না। জাতির পিতা স্বপ্ন দেখিয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বে আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি। বিশাল গাড়ি শিল্প হবে স্বপ্নও দেখিনি। কিন্তু বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন বাংলাদেশের সক্ষমতা। আমি তাঁকে বিশেষভাবে স্মরণ করছি। বঙ্গবন্ধু পরিবার ও শহীদদের আত্মত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি। এ বাংলাদেশে আমাদের ধনসম্পদ হচ্ছে। সাধারণ মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হচ্ছে।
যার নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আহ্বান জানিয়েছেন, গাড়ি আমরা বিদেশ থেকে আনবো না গাড়ি দেশেই তৈরি করবো। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে পিএইচপি পরিবার এগিয়ে এসেছে। তাঁদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই। গাড়ি প্রস্তুত ও বিশ্বখ্যাত ব্রান্ডের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করবেন। এ দূরদর্শিতা আপনাদের মধ্যে আছে। সবাইকে আহ্বান জানাব, দেশে ম্যানুফেকচারিং ইকো সিস্টেম আপনারা করবেন। আমাদের সন্তানরা সেখানে টেকনিশিয়ান হবে সেলস পারসন হবে। ভারতে আছে, পাকিস্তানেও হয়ে গেছে। আমরা দেখেছি কিছু দিন আগে টয়োটা মিয়ানমারে প্ল্যান্ট দিচ্ছে। আমাদের দেশে একমাত্র প্ল্যান্ট ছিল প্রগতির। পিএইচপি করেছে। গাড়ির ম্যানুফেকচারিং বান্ধব পলিসি তৈরি করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। আমরা আশা করছি, এ পলিসির সুফল আমরা পাবো।
তিনি বলেন, আমরা ওকালতি করার সময় দেখেছি বাংলাদেশে যে বিনিয়োগগুলো আসছে সেই বিনিয়োগে প্রশাসন সাইটে অনেক প্রতিবন্ধকতা। রুলস রেগুলেশনে প্রশাসন ও সরকার একটু সহযোগী হয়, অধিদফতর দফতরগুলো যদি ব্যবসাবান্ধব হয় তাহলে ব্যবসায়ীরা কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অনেকদূর এগিয়ে নিতে পারবে। দলের দোষ দিয়ে নেই। সরকার- প্রশাসনে আমরা যারা আছি তাদের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা দেশকে ভালো জায়গায় নিয়ে এসেছি। প্রশাসনকেও প্রধানমন্ত্রী জনবান্ধব করছেন। ব্যবসায়িক ক্লায়েন্টদের চ্যালেঞ্জগুলো কমানোর প্রবণতা আমরা প্রশাসনে দেখছি। আমরা খুশি ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে কর্মসংস্থান হবে। বেকারত্ব হবে। আমরা আশাবাদী বাংলাদেশকে নিয়ে। ময়মনসিংহ যাওয়া ও চট্টগ্রাম আসার পথে বিশাল পরিবর্তন দেখেছি। একটা এলাকাতেই অনেক ইন্ডাস্ট্রি। অনেকে ভয় লাগায়- বাংলাদেশ শ্রীলংকা হতে পারে। এটা জুজোর ভয়। তাদের কিছু পয়সা খরচ করে আকাশপথে গাজীপুর অঞ্চল যেন ঘুরে আসে সেই আহ্বান জানাব। তখন দেখবে এ দেশে জননেত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণে কী পরিমাণ শিল্প হয়েছে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক মনজুর আলম, পিএইচপি অটোমোবাইলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আকতার পারভেজ প্রমুখ।
তিন দিনব্যাপী মোটর ফেস্টে বিভিন্ন ব্রান্ডের প্রাইভেট কার, জিপ, মোটরসাইকেল, গাড়ির যন্ত্রাংশ, মুবিল ইত্যাদি প্রদর্শিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২২
এআর/টিসি