ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

বাথরুমের সামনে পড়েছিল ‘একেন বাবু’ লেখকের মরদেহ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৩
বাথরুমের সামনে পড়েছিল ‘একেন বাবু’ লেখকের মরদেহ

কলকাতা: কলকাতা বাইপাস সংলগ্ন নিজ ফ্ল্যাট থেকে টালিউডের জনপ্রিয় চরিত্র ‘একেন বাবু’র স্রষ্টা সুজন দাশগুপ্তর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে ওই লেখকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

হাসিখুশি, গোলগাল চেহারার বাঙালি গোয়েন্দা একেন-কে লেখক সুজন দাশগুপ্তই পরিচয় করিয়েছিলেন পাঠকদের সঙ্গে।

জনপ্রিয়তার কারণে বইয়ের পাতা থেকে দর্শকদের জন্য পর্দায় হাজির হয়েছিলেন একেনবাবু।  গত পাঁচ দশক ধরে সুজন দাশগুপ্ত ছিলেন আমেরিকার বাসিন্দা।

মাস দুয়েক হলো সিনেমার কাজের জন্য সুজন দাশগুপ্ত কলকাতায় আসেন।  শহরের ইএম বাইপাস সংলগ্ন সার্ভে পার্কে এক ফ্ল্যাটে সস্ত্রীক থাকতেন সুজন দাশগুপ্ত। স্ত্রীও লেখালেখি করেন। তাদের একমাত্র মেয়ে থাকেন আমেরিকায়।  মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) শান্তিনিকেতন গিয়েছেন লেখকের স্ত্রী। আর বুধবারই এমন অঘটন।

জানা যায়, বাড়িতে একাই ছিলেন লেখক সুজন দাশগুপ্ত। এদিন সকালে বাড়ির পরিচালিকা কলিং বেল বাজালেও দরজা না খোলায় আকাসনের সিকিউরিটিকে ডাকেন পরিচারিকা। ডাকা হয় পুলিশ এবং লেখকের শ্যালককে। পরে সার্ভে পার্ক থানা পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঘরে ভেতরে ঢোকেন। পরে পুলিশ বাথরুমের সামনে লেখকের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে।

একেন বাবুর চরিত্রে অভিনয় করেন অনির্বাণ চক্রবর্তী। লেখকের মৃত্যুতে কার্যত হতবাক অনির্বাণ।

তিনি জানান, খরব পেয়েছি। আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। সবকিছু কেমন যেন গুলিয়ে যাচ্ছে।

১৯৬৭ সালে কলকাতা থেকে আমেরিকায় পাড়ি দেন সুজন দাশগুপ্ত। তবে মাতৃভাষার টান বেশি দিন উপেক্ষা করতে পারেননি। এর জোরেই সৃষ্টি হয় ‘একেনবাবু’র মতো বাঙালি গোয়েন্দা চরিত্র।

সম্প্রতি যা বইয়ের পাতা থেকে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম দাপিয়ে এখন বড়পর্দায়।

এছাড়াও ‘ম্যানহ্যাটনে মুনস্টোন’, ‘ঢাকা রহস্য উন্মোচন’, ‘খুনের আগে খুন’ যাবতীয় সৃষ্টি সুজন দাশগুপ্তর কলমে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৩
ভিএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।