কলকাতা: বাংলা ভাষা শিখতে সরস্বতী পূজার দিন হাতেখড়ি নিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে রাজভবনে এক অনুষ্ঠানে ন’বছরের দিয়াশিনী নামে এক বালিকা রাজ্যপালকে হাতেখড়ি দেয়।
দিয়াশিনী যেমন স্লেট পেন্সিল দিয়ে রাজ্যপালকে লেখা শেখান তেমন আরও দুই শিশু রঞ্জনা আর শুভজিৎ এসে রাজ্যপালকে শেখাল বাংলায় কথা বলা। সুর করে তারা বলে, মাদার মানে মা। আর্থ মানে ভূমি। তবে রাজ্যপাল শুধু মা এবং ভূমি শব্দ উচ্চারণ করেন। তাদের হাতে গুরুদক্ষিণা তুলে দেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালকে বর্ণ পরিচয়ের দুটি খণ্ড উপহার দেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
হাতেখড়ি নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেছেন, বাংলা সুন্দর ভাষা। আমি বাংলাকে ভালোবাসি। আমি বাংলার মানুষকে ভালোবাসি। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু মহানায়ক, অমরনায়ক। জয় বাংলা, জয় হিন্দ। এদিন রাজ্যপাল যখন বাংলায় বক্তৃতা করেন তখন মমতা বক্তব্যের প্রথম অংশ শুরু করেন মালয়ালমে।
মমতা বলেন, আপনি আজ বাংলা শেখা শুরু করলেন। আমিও মালয়ালম লিখে দিতে পারি। আমিও শিখেছি। আমরা যেখান থেকে স্বরবর্ণ ও ব্যাঞ্জন বর্ণ শিখি, সেই বর্ণপরিচয় আপনার হাতে তুলে দিতে চাই। এর পরেই রাজ্যপালের হাতে বর্ণপরিচয় তুলে দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা এদিন আরও বলেন, সংখ্যার নিরিখে এশিয়ায় বাংলাভাষীরা দ্বিতীয় স্থানে। তারপরেও বাঙালিরা অন্য ভাষা শিখতে চান। কারণ ভারতের মতো বাংলাও বিভেদের মধ্যে ঐক্যকেই বড় করে দেখতে চায়।
মমতা বলেন, আমরা সব ভাষা শিখতে চাই। ভারত আমাদের মাতৃভূমি, সেখানে বিভেদের মধ্যে ঐক্য বড় কথা। তামিলদের নিজস্ব ভাষা আছে, পঞ্জাবিদের নিজস্ব ভাষা আছে। দার্জিলিঙেরও নিজস্ব ভাষা রয়েছে। এমনকি পশ্চিমবঙ্গেও অনেক ভাষা রয়েছে। বাংলাও ঐক্যবদ্ধ ভারতেরই মতো। আমি মনে করি, যেখানেই যাই, স্থানীয় ভাষা শেখা উচিত। স্থানীয় ভাষা শিখলে উপকার হয়।
এদিন বিকেলের অনুষ্ঠানে হাতেখড়ি ম়ঞ্চে উপস্থিত ছিলেন অজয় চক্রবর্তী, শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বাগতালক্ষ্মী দাশগুপ্ত, পূর্ণদাস বাউলের মতো শিল্পীরাও।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২২
ভিএস/এসএ