কলকাতা: যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যে ভারতে পালিত হচ্ছে পবিত্র শবে বরাত। এর অংশ হিসেবে রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা থেকেই ভিন্ন রূপ নেয় কলকাতার মুসলিম মহল্লাগুলো।
দিনটিতে শহরের মুসলিম বাড়ি বাড়ি তৈরি হয় হালুয়া, রুটি, সেমাইসহ নানা রকম মিষ্টি জাতীয় খাদ্য। কবরস্থানগুলো জ্বালানো হয় আগরবাতি ও মোমবাতি।
মহিমান্বিত এ রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পরম করুণাময় মহান আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের আশায় নফল নামাজ, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও জিকিরে মগ্ন থাকেন। অতীতের পাপ ও অন্যায়ের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করেন। একইসঙ্গে মৃত আত্মীয়-স্বজনের কবর জিয়ারত করে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।
পাড়া-মহল্লার মসজিদগুলোতে সন্ধ্যার পর ওয়াজ-নসিহত, মিলাদ-মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়ে থাকে। গভীর রাত পর্যন্ত ইবাদত বন্দেগিতে মগ্ন থেকে শেষ রাতে সেহরি খেয়ে পরদিন অনেকে রোজা রাখেন।
পার্ক সার্কাস অঞ্চলের ইমাম মুফতি মোহাম্মদ বাবর কোয়াসমি বলেন, হিজরি বর্ষের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত্রিকে মুসলমানরা শবে বরাত হিসেবে পালন করে থাকেন। পবিত্র শবে বরাত রমজান মাসের আগমনীর বার্তা দেয়।
তিনি আরও বলেন, শাবান মাস একটি মোবারক মাস। মুহাম্মদ (সা.) এ মাসে বেশি বেশি নফল রোজা রাখতেন। রমজানের প্রস্তুতির মাস হিসেবে তিনি এ মাসকে পালন করতেন। এ মাসের একটি রাতকে মুসলমানরা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। মধ্য শাবানের এ রাত ‘শবে বরাত’ হিসেবে পরিচিত।
সবশেষে তিনি বলেন, শবে বরাত দোয়া মোনাজাতসহ, বিভিন্ন নফল ইবাদত-বন্দেগিতে কাটানোর দরকার। কারণ, নিজেকে পরিশুদ্ধ করতে হলে প্রথমে দরকার আত্মার পরিশুদ্ধি।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৪
ভিএস/আরএইচ