ঢাকা, শনিবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জুন ২০২৪, ২১ জিলহজ ১৪৪৫

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর নামে চেয়ারের প্রস্তাব

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৪
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর নামে চেয়ারের প্রস্তাব “বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম” শীর্ষক আলোচনা সভা

কলকাতা: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাঙ্গালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে একটি চেয়ার স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৩৯ তম শাহাদৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বারভাঙ্গা হলে “বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম” শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এই চেয়ার স্থাপনের প্রস্তাব করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সন্দ্বীপ দাস।



বৃহস্পতিবার এই আলোচনা সভার আয়োজন করে কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপ-হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন নেতাজি রিসার্চ ব্যুরো’র চেয়ারপারসন কৃষ্ণা বসু, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সুরঞ্জন দাস, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ  ইনিস্টিটিউটের ফেলো অধ্যাপক অমিয় চৌধুরী, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনিস্টিটিউট অফ ফরেন পলিসি স্টাডিজ –এর  অধ্যাপক জয়ন্ত কুমার রায় এবং অধ্যাপক সন্দীপ দাস।

অধ্যাপিকা কৃষ্ণা বসু তার বক্তব্যে বলেন বঙ্গবন্ধু আর বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা, বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধুর মত একজন নেতার খুব প্রয়োজন ছিল। বাংলাদেশের উন্নয়নই ছিল তার সার্বক্ষণিক ভাবনা।

অধ্যাপক সুরঞ্জন দাস এই উপমহাদেশের তৎকালীন রাজনৈতিক চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন বঙ্গবন্ধু ছিলেন মাটি এবং মানুষের নেতা। তার প্রতিটি সিদ্ধান্ত ছিল মানুষের কথা চিন্তা করে।

পাশাপাশি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে একটি চেয়ার স্থাপনের প্রস্তাব করেন অধ্যাপক দাস।

অধ্যাপক সন্দীপ দাস বলেন,বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের তার ভাষণে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন বলেই বাংলাদেশ এত দ্রুত স্বাধীন হতে পেরেছিল।

অধ্যাপক জয়ন্ত কুমার রায় বলেন বঙ্গবন্ধু ছিলেন শোষিত মানুষের পক্ষের নেতা। দেশের কথা ভেবে তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদও ছাড়তে পেরেছিলেন। অালোচনা সভায় বিপুল সংখ্যক শ্রোতা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২১ , ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।