ঢাকা, শনিবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জুন ২০২৪, ২১ জিলহজ ১৪৪৫

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

আহমেদাবাদ থেকে বাংলাদেশ যাচ্ছে ব্লাড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন

মাহমুদ মেনন, হেড অব নিউজ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৪
আহমেদাবাদ থেকে বাংলাদেশ যাচ্ছে ব্লাড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন

আহমেদাবাদ (গুজরাট) থেকে: আহমেদাবাদ থেকে বাংলাদেশে যাচ্ছে ব্লাড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। ট্রাক ভর্তি হয়েছে।

এবার রওয়ানা হবার পালা। বেনাপোল হয়ে তা ঢুকবে বাংলাদেশে। বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানের তৈরি ব্লাড অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের এসব কিটস ব্যবহৃত হবে মানুষের শরীর থেকে রক্ত নেওয়া ও দেওয়ার কাজে।

কাজী আবু বকর। ওয়ার্ল্ড মেডিকেল সিস্টেমের স্বত্বাধিকারী। তিনি নিচ্ছেন এই ব্লাড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। গত পাঁচ দিন আহমেদাবাদে অবস্থান করে এখানকার নামকরা প্রতিষ্ঠান আলফা থেরাপিউটিকস-এর কাছ থেকে এলসি খুলে কিনে নিয়েছেন মেডিকেল সামগ্রী।

আহমেদাবাদে হাফিজি গ্রুপের হোটেল অ্যামব্ল্যায়ান্সে বসে কথা হচ্ছিলো এই বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর সঙ্গে। জানালেন, মাত্র গত বছরই সরকার এ ধরনের মেডিকেল কিটস আমদানির ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। যারা এতদিন এই জাতীয় কিটস দেশের হাসপাতাল আর ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে সরবরাহ করে আসছে তাদের একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে নিয়ে আসতেই সরকারের এই উদ্যোগ।

আবু বকর বলেন, রক্ত দেওয়া-নেওয়া অত্যন্ত সংবেদনশীল একটি কাজ, আর তা যেসব কিটস ব্যবহার করে এই কাজটি করা হয় সেসবও সংবেদনশীল। কিন্তু বাংলাদেশে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই চায়না কিটস ব্যবহৃত হয়। আর যারা এই ব্যবসা করছে তারা একচেটিয়াভাবে তা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের সরবরাহ করা কিটসের দামও অনেক বেশি। আর যে কোম্পানি এর সরবরাহকারী বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদনও সেটির নেই।

আর এসব কারণেই সরকার বিষয়টিতে নিয়ন্ত্রণ আনতে লাইসেন্সিং ও রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ এনেছে।

আবু বকরের প্রতিষ্ঠানটি সরকারের লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত একটি, একথা জানিয়ে তিনি বলেন, আলফা থেরাপিউটিকস একটি নামকরা প্রতিষ্ঠান, এদের থেকে কিটসগুলো নেওয়ার ব্যাপারে সরকারের অনাপত্তি নিয়েই তিনি ভারত এসেছেন।

আহমেদাবাদে ৫৫ হাজার বর্গফুট এলাকা জুড়ে গড়ে ওঠা এই ফ্যাক্টরি সম্পূর্ণ পরিবেশ দূষণমুক্ত প্রক্রিয়ায় তাদের পণ্য উৎপাদন করে। আইএসও-২০০০ এর কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ও প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে চলে এর উৎপাদন প্রক্রিয়া।

আলফা যে তার ব্যবসায়ী পার্টনারদের প্রতি অঙ্গীকারাবদ্ধ তাও জানা গেলো আবু বকরের কাছে। তিনি জানালেন, সামান্য বেগ পেতে হয়নি তার এলসি খুলে এই পণ্য আমদানিতে। সব কিছু প্রক্রিয়া অনুযায়ী সম্পন্ন হয়েছে।

কোয়ালিটি লিডার হিসেবে আলফার নাম রয়েছে। আর সেখান থেকেই বাংলাদেশে যাচ্ছে এসব পণ্য। সার্ভিস ফর জিরো ডিফেক্ট, এবং স্বল্প দামে সেরা পণ্য সরবরাহ করাও এর লক্ষ্য।

আবু বকর বলেন, তার পক্ষে ১৮ থেকে ২০ টাকায় বাংলাদেশের হাসপাতালগুলোতে এই পণ্য সরবরাহ করা সম্ভব হবে। যে পণ্য এখন কিনতে লাগছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা।

আবু বকর বলেন, এর মধ্য দিয়ে দেশে রোগীদের চীন থেকে সামগ্রী এনে দেশে ম্যানুফ্যাকচার করে যারা বাজারজাত করছেন তাদের একচেটিয়া ব্যবসা থেকে রোগীরা মুক্তি পাবে।

আর সরকার এলসি খুলে এই সামগ্রী আমদানির সুযোগ দেওয়াতে আলফা থেরাপিওটিক ছাড়াও বিশ্বের যেসব দেশে উন্নত মানের চিকিৎসা সামগ্রী পাওয়া যায় সেসবও আনা সম্ভব হবে।

তবে আহমেদাবাদে গড়ে ওঠা মেডিকেল সামগ্রীর বড় বড় ফ্যক্টরিগুলো উন্নত মানের প্রোডাক্ট তৈরি করছে বলেই বিশ্বাস এই বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর।

বাংলাদেশ সময় ১২৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।