ঢাকা, শনিবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জুন ২০২৪, ২১ জিলহজ ১৪৪৫

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

আহমেদাবাদের কাপড় জগতে নয়া মনীষা রাণী!

মাহমুদ মেনন, হেড অব নিউজ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৪
আহমেদাবাদের কাপড় জগতে নয়া মনীষা রাণী! ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

আট মাসেই পসার জমিয়ে ফেলেছেন মনীষা। ছিলেন গৃহস্থালী কাজে।

স্বামী শেয়ার বাজারের বিনিয়োগকারী। আর এক মেয়ে সেও ডিগ্রি নিয়ে এখন পুরোদস্তুর চিকিৎসক। তাই মধ্য বয়সে উদ্যোক্তা মনীষা। গুজরাটি নারীদের দম আছে, আছে উদ্যম আর সে কারণেই মনীষা আজ পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী।

মাত্র লাখ দশেক রুপির পুঁজি নিয়ে যাত্রা শুরু। আহমেদাবাদের বিখ্যাত কাপড় মার্কেট নিউ ক্লথ মার্কেটের পাঁচ হাজারের বেশি দোকানের একটিতে পসরাও সাজিয়েছেন বেশ জমিয়ে। বিভিন্ন টেক্সটাইল থেকে বিভিন্ন মানের কাপড়ে নিজস্ব ডিজাইনে তৈরি করে আনছেন বেডশিট, পর্দা, কুশন কভার ইত্যাদি। আর সহনীয় দামে তা বিক্রি করছেন। জনা পাঁচেক কর্মী নিয়ে মণীষাই ক্রেতা সামলান। চিকিৎসক মেয়েও মাঝে মধ্যে আসেন মায়ের দোকানে সময় দিতে।

কাপড়ের জগতে আহমেদাবাদের টেক্সটাইলের খ্যাতি বিশ্ব জুড়ে। বলা যায় টাই-ডাইয়ে আহমেদাবাদের নাম সবার সেরা।

আহমেদাবাদের বস্ত্রশিল্প খ্যাতি ছড়িয়েছে সেই উনবিংশ শতকে ব্রিটিশ রাজ যখন এই শহর প্রতিষ্ঠা করে তখনই। তখনই এই শহরের নাম হয়, ম্যানচেস্টার অব ইন্ডিয়া।

জিনসের জন্য আজ বিশ্বখ্যাত যে ডেনিম ব্র্যান্ড তাও এই আহমেদাবাদের তৈরি।

সবরমতি নদীর তীরে গড়ে উঠেছে শত শত শিল্প কারখানা। আর গুজরাটের যে কালো মাটি তা তুলা চাষের উপযোগী। আর সেই তুলায় তৈরি হচ্ছে আহমেদাবাদের জন্য গৌরবের সব কাপড়।

এসব ইতিহাস মনীষার জানা। সুন্দর হাসি ছড়িয়ে দিয়ে বললেন, ওসব না জানলে ব্যবসা করবো কী করে।

জানালেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটকরা এসে তার দোকান থেকে কাপড় কেনে। তবে বাংলাদেশি কেউ এই প্রথম তার দোকানে এলো।

সবগুলোর বড়গ্রুপের কাপড়ই বিক্রি করেন মনীষা। তিনি বলেন, এখানে কাপড় সস্তায় মেলে। আহমেদাবাদে যে কাপড় ৫শ’ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে দিল্লিতে তা বিক্রি হবে এক হাজার রুপিতে, দাবির সঙ্গে বললেন মনীষা। তিনি বলেন, এখানে সস্তায় শ্রম পাওয়া যায়, যার ফলে উৎপাদন খরচ কম।

দেশের বিভিন্ন রাজ্যে যায় আহমেদাবাদের কাপড়। আর দেশের বাইরে রপ্তানিও সহজ। কারণ সমুদ্রের খুব কাছেই আহমেদাবাদ নগরী।

এই নগরী নিয়েও গৌরব মনীষার। বলছিলেন, ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত যখন নেই, তখন কাপড়ের ব্যবসাই সাব্যস্ত। কারণ এটাই আমাদের গর্বের।

হ্যাঁ, মনীষার দোকানের আরেকটি বিশেষত্ব জানিয়ে রাখি। সাধারণত কাপড়ের সেফলের সামনে দোকানি বসে পণ্য দেখান খদ্দেরকে। কিন্তু মনীষার দোকানে সেখানেই খদ্দেরের বসার সুযোগ। খদ্দেরকে পাতানো আসনে বসিয়ে নিজে মেঝেতে বসে হাসিমুখে কাপড় বেচেন মনীষা। খদ্দেরতো তার থাকবেই।

** মোদীর গুজরাট উন্নয়নের আইকন ‘গিফটসিটি’
** চকচকে পরিপাটি ‘গান্ধীনগর’
** আহমেদাবাদ থেকে বাংলাদেশ যাচ্ছে ব্লাড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন
** চকচকে পরিপাটি ‘গান্ধীনগর’
** ঘুরে আসি আজমীর
** দিল্লি প্রেসক্লাবে সাবসিডি নেই!
** দিল্লির রাতে সস্তা দোকানিরা...

** মাকরানার হোয়াইট মার্বেলেই অনিন্দ্য তাজমহল

** দিল্লির আশীর্বাদ দিল্লি মেট্রো,ঢাকা মেট্রো কবে

** অ্যারাভেলি পর্বতে ঘেরা ভ্রাতৃত্ব

** ৩৬ ঘণ্টার বিচিত্র রূপ!

** ইন্টারনেটে বাংলাদেশ এগিয়ে

** সেই তো আমরাই!
** লাইফলাইন অব ইন্ডিয়া
** দিল্লি কত দূর?
** ভারতীয় ইমিগ্রেশনে বাংলাদেশের মর্যাদা
** গ্রীনলাইনে ভুগতে ভুগতে কলকাতা

বাংলাদেশ সময় ২২৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।