কলকাতা: ‘তোমার নাম আমার নাম ভিয়েতনাম, ভিয়েতনাম’- ষাটের দশকে কলকাতায় যাদের যাওয়া আসা ছিলো তাদের কাছে এ স্লোগান ভোলার নয়। কলকাতার অলি-গলি, বাড়ির দেওয়ালে স্লোগানটি ছিলো অতি পরিচিত।
এর মধ্যে বহুবার বদলে গেছে বিশ্ব রাজনীতির চেহারা। ফের পশ্চিমবঙ্গবাসীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ হতে চলেছে ভিয়েতনামের। সৌজন্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মৎস্য দপ্তর।
নতুন এ যোগাযোগের ফলে শারদ উৎসবের সময় থেকেই পশ্চিমবঙ্গবাসীর পাতে উঠবে ভিয়েতনামের কই।
‘তেল কই’ বঙ্গ রসনয়ায় একটি অতিপ্রিয় পদ। কিন্তু বর্ষাকালে এখন আর আগের মতো ধানের খেতে কই মাছের দেখা মেলে না। কারণ হিসেবে চাষের জমিতে রাসায়নিক ব্যবহারকে দোষারোপ করছেন বিজ্ঞানীরা।
আগামীতে এই আক্ষেপ কিছুটা হলেও দূর হতে চলেছে বলে জানাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের মৎস্য দপ্তর। কলকাতার পূর্ব অংশে চিংড়িঘাটা এলাকার ঝিলে ছাড়া হয়েছে ভিয়েতনাম থেকে আনা কই। মনে করা হচ্ছে কিছুদিনের মধ্যেই এই মাছ বড় হয়ে উঠবে।
আরও কিছু জলাশয়ে আগামীতে এ মাছ ছাড়া হবে বলে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ।
জানা যায়, বঙ্গোপসাগর ও আটলান্টিক মহাসাগরে পাওয়া যাওয়া ‘কোবিয়া’ মাছের চাষ করতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ মৎস্য দপ্তর। ঈষদোষ্ণ জলের এই মাছ মেক্সিকো উপকূলীয় অঞ্চলে প্রচুর পাওয়ায় যায়। পূর্ণ বয়স্ক এ মাছের ওজন হয় প্রায় ছয় কেজি।
দীঘা অঞ্চলে এই মাছ চাষ করা হবে। শুধু মেস্কিকো নয়, জাপান, চীন, ইউরোপেও এই মাছ খাওয়ার চল রয়েছে।
তবে যাই হোক, এবার পশ্চিমবঙ্গবাসীর প্রিয় মাছের হাত ধরেই আবার মুখে মুখে ফিরে আসতে চলেছে ভিয়েতনামের নাম। প্রায় পঞ্চাশ বছর বাদে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৪ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৫
এএ