ঢাকা, সোমবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ জুলাই ২০২৪, ২৩ জিলহজ ১৪৪৫

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

বিজয় উৎসবে কম নন ভারতে যুক্ত হওয়া ছিটবাসীরাও

ভাস্কর সরদার, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১, ২০১৫
বিজয় উৎসবে কম নন ভারতে যুক্ত হওয়া ছিটবাসীরাও ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মশালডাঙা (কোচবিহার) থেকে: শুক্রবার (৩১ জুলাই) ঠিক রাত ১২টা সময় নতুন পরিচয়ে জেগে উঠলো ভারতের ৫১টি ছিটমহল। এদিন সন্ধ্যা থেকে মশালডাঙায় শুরু হয় ‘বিজয় উৎসব’।

‘হিন্দুকে প্রণাম, মুসলমানকে সেলাম, শোনাই ছিটমহলের গান’, এক কৃষক কন্যার গলায় এ গানে ‘বিজয় উৎসবের’ সূচনা।

উৎসবের শুরুতেই ছিটমহলের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি ১০৪ বছর বয়সী আসগর আলিকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কোচবিহার থেকে নির্বাচিত পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।

রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সক্রিয় প্রচেষ্টা ছিটবাসীর সঙ্গে ছিল। তিনি জানান, ভারতবর্ষের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. মোনমোহোন সিংহ পরিচালিত পূর্বতন কেন্দ্রীয় সরকার ছিটমহলবাসীদের ‘পুনর্বাসন প্যাকেজ’ দিতে রাজি না হওয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিটমহল হস্তান্তরে মত দেননি। তিনি আরও জানান, সাবেক কংগ্রেস সরকার পুনর্বাসনের দায় রাজ্যের ওপর চাপাতে চেয়েছিল।

বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার এ ‘প্যাকেজ’ দিতে রাজি হওয়ার পরেই মত দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লক্ষণীয় এ দিনের মঞ্চ ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয় বঙ্গ নীল এবং সাদা কাপড় দিয়ে ঢাকা।

মঞ্চে উঠে ফরোয়ার্ড ব্লক দলের নেতা উদয়ন ঘোষও ছিলেন। খুশির এ দিনে তিনি বলেন, এ ‘বিজয় উৎসব’ রাজনীতির জায়গা নয়। এটা ছিটমহলবাসীদের আন্দোলনের সফলতার দিন। তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রের কংগ্রেস সরকারের সঙ্গে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তিনি তখন ছিলেন ছিটমহল হস্তান্তরের প্রবলবিরোধী। সে কথা ভুলে গেলে চলবে না। তিনি ছিটমহলবাসীদের অভিনন্দন জানান।

এরপর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন সদ্য ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়া কোচবিহার মশালডাঙা ছিটমহলের  অধিবাসীরা।

বাংলাদেশ সময়: ০৮১২ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১৫ 
ভিএস/আইএ

** আনন্দাশ্রুতে সিক্ত ছিটমহলের মাটি
** গোতামারীতে লাল-সবুজের পতাকা
** বিজয় উৎসবে কম নন ভারতে যুক্ত হওয়া ছিটবাসীরাও
** বাংলাদেশে যুক্ত হওয়া ৩৬ ভূখণ্ডে একযোগে পতাকা উড়লো
** অবসান হলো বঞ্চনার
** অন্ধকার থেকে মঙ্গল আলোয়

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।