কলকাতা: ঢাকার বাংলাবাজারে নিজের একটি বই দেখে নিজেই অবাক হয়েছিলেন লেখক সমরেশ মজুমদার। বইটি নেড়েচেড়ে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন এটি পাইরেটেড।
কলকাতার নন্দন চত্বরে বাংলাদেশ বইমেলার শেষ দিনে (১৩ সেপ্টেম্বর) পাইরেসি সমস্যা সংক্রান্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা জানান সমরেশ মজুমদার।
এরপর তিনি এবং প্রয়াত সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ জানালে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু আজও পাইরেসি একটি বড় সমস্যা বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের জনপ্রশাসন সচিব ড. কামাল চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন কলকাতায় বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত উপ হাইকমিশনার মাইনুল কবির।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, ঢাকা’র পরিচালক মো. আলমগীর সিদ্দিকী, বাংলাদেশের জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সহ-সভাপতি মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ। উপস্থিত ছিলেন- পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি কেন্দ্রের অধিকর্তা ড. ওম প্রকাশ ভারতী, বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনের প্রথম সচিব (বাণিজ্য) সাইফুল ইসলাম এবং ভাষা ও চেতনা সমিতির সম্পাদক অধ্যাপক ইমানুল হক।
আলোচনায় উঠে আসে গত এক বছরে আড়াই মিলিয়ন ডলার মূল্যের ভারতীয় বই বিক্রি হয়েছে বাংলাদেশে, তার বিপরীতে চার লাখ ডলারের বাংলাদেশি বই শুধু কলকাতায় বিক্রি হয়েছে। পাইরেসি রুখতে পারলে এ অংক আরও বাড়বে বলে মন্তব্য করেন বক্তারা। তারা বলেন, এজন্য দুই দেশের মধ্যে বই আমদানি-রপ্তানি সহজ করা দরকার।
এ প্রসঙ্গে উঠে আসে বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেল কলকাতায় না দেখনোর প্রসঙ্গ।
সভায় পাইরেসি রুখতে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সচেষ্ট হতে আবেদন জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
ভিএস/আরএম