ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ষষ্ঠীতেই বর্ণিল আগরতলার শারদোৎসব

মাসুক হৃদয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৫
ষষ্ঠীতেই বর্ণিল আগরতলার শারদোৎসব ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

আগরতলা (ত্রিপুরা) থেকে: সব প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে সোমবার থেকে শুরু হল হিন্দু ধর্মাবলম্বী বাঙালিদের শ্রেষ্ঠ ধর্মীয় উৎসব। ষষ্ঠীদিনেই ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলা সেজেছে বর্ণিল সাজে।



সোমবার (১৯ অক্টোবর) মহাষষ্ঠী, দেবীর বোধন। তাই আগরতলার সর্বত্র প‍ুজো প্যান্ডেল দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। ফলে সন্ধ্যা গড়াতেই রাজধানীর ব্যস্ততম সড়কগুলো যেন আচমকা আরও ব্যস্ত হয়ে উঠে। প্রতিটি রাস্তায় প্রচণ্ড গাড়ির চাপ, ছিল মানুষের মিছিল। যানবাহনের গতি যেন থমকে গেছে!

নগরের কামান চৌমুহনী এলাকায় স্থাপিত পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র সূত্র জানায়, এবার ত্রিপুরা রাজ্যে দুই হাজার ৩৭৪টি মণ্ডপে পূজা অনু্ষ্ঠিত হচ্ছে। এরমধ্যে ত্রিপুরা জেলায় ৭৫৩টি এবং রাজধানী শহরের ২৬৩টি মণ্ডপে পূজা চলছে।

সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ৮টায় আগরতলার ঐতিহ্যবাহী সেন্ট্রাল রোডের যুব সংস্থার প‍ুজো প্যান্ডেলে দর্শানার্থীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়।

প‍ুজো প্যান্ডেলের সামনে ছিল গাড়ির লম্বা লাইন। নগর জুড়ে ব্যক্তিগত গাড়ির দাপাদাপিও ক্রমেক্রমে বাড়ছিল পাল্লা দিয়ে।

উষা বাজার ভারতরত্ন সংঘ, চিত্তরঞ্জন, সংহতি ক্লাব, প্যারাডাইস সামাজিক সংস্থা, ছাত্রবন্ধু, নেতাজী প্লে সেন্টার, শান্তিপাড়া, রামঠাকুর সংঘ প্যান্ডেলগুলোতেও দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে।
 
সেখানকার ঐতিহ্যবাহী সংহতি ক্লাব ও প্যারাডাইস সামাজিক সংস্থার পক্ষ থেকে এলাকার দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।

তবে ষষ্ঠীর দিন সন্ধ্যা ছয়টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত শহরের প্রতিটি রাস্তায় যান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও।

দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় নগরের আনাচে কানাচে টিএসআর, সাদা পোশাকের পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে পুজো উপলক্ষে নগরের যানজট নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হচ্ছে ট্রাফিক কর্মীদের। মানুষের দীর্ঘ জটে গাড়ি চলাচলেও বেশ ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে।

নগরের সূর্য চৌমুহনী এলাকায় কর্মরত ট্রাফিক কর্মী সারদা মণি বাংলানিউজকে বলেন, পূজা উপলক্ষে গাড়ির ভিড়টা বেশি। এ ভিড় সামলাতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।

আগরতলার রামনগর এলাকার বাসিন্দা ইউকো ব্যাংকের কর্মকর্তা মনোজ চৌধ‍ুরী বলেন, প্রথম দিনেই এমন অবস্থা হবে ভাবিনি। শহরের দক্ষিণ দিক অর্থাৎ ড্রপগেইট থেকে নাগেরজলা-বটতলা হয়ে জিবি বা মোটর স্ট্যান্ড হয়ে চন্দ্রপুর যেতে আধ ঘণ্টার পথে এখন দুই ঘণ্টারও বেশি সময় লাগছে।

কিছুটা তো ঝক্কি ঝামেলা আছেই, তারপরও শারদোৎসব বলে কথা। হাজার সমস্যা দূরে ঠেলে আনন্দে মেতে উঠেছে রাজ্যের পাহাড় ও সমতলের বাঙালিরা।

কুঞ্জবন এলাকা থেকে আসা পূণ্যার্থী প্রিয়া ভাস্কর বলেন, পূজার সময়টাতে অন্যরকম এক ভালোলাগা কাজ করে। এই উৎসব আমাদের অপরিসীম আনন্দ দেয়।

বাংলাদেশ সময়: ০৩২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৫
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।