কলকাতা: পাঁজির হিসেবে নবমী পেরিয়ে দশমী লেগেছে শারদ উৎসবের শরীরে। কিন্তু কলকাতার মানুষের মনে বৃহস্পতিবার(২২ অক্টোবর) নবমী।
কিন্তু মেজাজ না মানলেও কোথায় যেন উৎসাহীদের ফাঁক দিয়ে একটা উদাসী হাওয়া প্রবেশ করেছে শহর কলকাতার হৃদয়ে। বৃহস্পতিবার রাত কাটলেই শেষ পূজা। আর সেই নবমী নিশি যেন না কাটে তার অকুল প্রার্থনা উৎসবে মেতে থকা মানুষের মনে।
কলকাতার সাবেকি বাড়ি পূজাগুলিতে বেজে গেছে বিজয়ার সানাই। আর সেই সানাইয়ের সুর ধরে সিঁদুর খেলা শুরু হয়েছে শোভাবাজার রাজবাড়ির নাৎ মন্দিরে। প্রথা মেনে আকাশে মুক্ত করা হবে নীলকণ্ঠ পাখি। শাস্ত্র মতে সেই পাখি কৈলাসে গিয়ে আগাম খবর দেবে অপেক্ষায় থাকা মহাদেবকে। বাপের বাড়ি থেকে সন্তানদের নিয়ে কৈলাসে ফিরছেন উমা।
কলকাতা থেকে কৈলাস পাখি উড়ে গেলেও মর্তের মানুষ বাড়ির মেয়ে উমাকে বিদায় জানাতে চায় না। আর একটা দিন যদি উমা থেকে যায়! কিন্তু পাঁজির হিসেবে উমার বাপের বাড়ির থাকার দিন শেষ। সে না হয় হোল কিন্তু বাড়ির মেয়েকে জোর করে আর একটা দিন কি আটকে রাখা যায় না? সেই আকুল অনুরোধই করছে শহর কলকাতা।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই মণ্ডপে লম্বা লাইন। আজকের দিনেই ভারতের অনান্য রাজ্যে পালিত হচ্ছে ‘দশেরা’ উৎসব। শ্রী রাম চন্দ্রের রাবণ বধের দিন হিসেবে এই দিনটিকে পালন করা হয়।
তবে উৎসবের মধ্যেও একটা উদাসী হাওয়া লেগেছে একথা অস্বীকার করা যায় না। তবুও উৎসবের শেষ মুহূর্তটুকু ছাড়তে নারাজ কলকাতার নাগরিকরা। তাই মন একটু খারাপ হলেও শেষ মুহূর্তের আনন্দকে চেটেপুটে নিতে পথে নেমেছে কলকাতার জনগণ।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৫
ভি.এস/আরআই