কলকাতা থেকে: নিউমার্কেটের পেছন দিকেই উমা দাস লেন। হাতের বাম দিকে মোচড় নিলেই রামহরি মিস্ত্রী লেন।
রামহরি লেনে হরিচরণের চায়ের দোকান। মাটির পেয়ালায় চা দিলেন। এখানকার মানুষ কথায় কিছুটা রুক্ষ। চা নিয়েই কথা হয়। দৈনিক শত কাপ চা বিক্রি করেন। পর্যটকরা এ গলিতে ঢোকেন কম। নিউমার্কেট পর্যন্ত আসেন কেনাকাটা করতে।
এখানে ৫ টাকা করেই চায়ের পেয়ালা। চুলায় ফুটছে গরম দুধ। ছবি তোলা দেখে বললেন, এখানে এরকম মানুষই থাকে বেশি।
এখানে নিম্নবর্ণের মানুষের বাস বেশি। ছালওঠা কুকুরগুলো গলির পাড়ে ঝিমুচ্ছে।
গলির মাথায় যে বড় রাজনৈতিক বিলবোর্ড সেটা দেখিয়ে হরিচরণ জানালেন, এটা ৫২ নং ওয়ার্ড। সামনেই পুরসভা নির্বাচন। মমতা ব্যানার্জির নিচে যার ছবি তিনি সুনিতা সাহা। ১৯৯৫ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত কাউন্সিলর ছিলেন। এর আগের ১০ বছর দায়িত্বে ছিলেন, সুনিতার স্বামী স্বর্ণকমল সাহা৷
এবারের কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে নির্বাচনে দাঁড়ান সুনিতার ছেলে সন্দীপন সাহা৷ তাই চারজনকে নিয়েই বিলবোর্ড।
রামহরি স্ট্রিটে কিছু গলি রয়েছে যেখানে দুজন মানুষ পাশাপাশি হাঁটলেও গায়ে গা লেগে থাকবে।
তবে কালি পূজার মণ্ডপ কিন্তু একই গলিতে বেশ কয়েকটি। উচ্চ:স্বরে বাজছে সাউন্ড সিস্টেমে গান, 'ওম জয় জগদীশ..'। অনেকেই আবার গানের তালে দোকানে বসে শরীর নাড়াচ্ছেন।
মোটর সাইকেলের ওয়ার্কশপ, প্যাকেট আর কাগজের প্লেট বানানোর দোকান, দড়ি, নাটবল্টু বিক্রির বেশ কয়েকটি ওয়ার্কশপও চোখে পড়লো। চা-পুরির দোকান বেশ লক্ষণীয়।
রামহরি লেন থেকে বেরুনোর পথে পান সুপারির দোকান বেশি। বিক্রেতা কানাই জানালেন, উঁচু অট্টালিকা এখানে নেই। আর ড্রেনগুলো অনেক সময় জমে গিয়ে পানি উঠে যায় রাস্তায়।
চায়ের মধ্য তেলে ভাজা পরোটা ডুবিয়ে খাচ্ছেন তিনি। জানালেন, এখানকার বাসিন্দারা বস্তিবাসী। বেশিরভাগই নিউমার্কেটে বিভিন্ন ধরনের কাজ করেন। এর আশপাশে উমা দাস লেন, কলিন স্ট্রিট, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট।
নভেম্বরের সকালে কুয়াশা থাকলেও দুপুরে কিন্তু কলকাতা বেশ গরম। রোদের মধ্যেই রাস্তায় লোহা পেটাচ্ছে কয়েকজন শ্রমিক।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৫
এমএন/জেডএম
** রাস্তায় দাঁড়িয়ে স্যান্ডউইচ আর ভেলপুরি
**নিউমার্কেটে হ্যাপি দিওয়ালি
** পুরুষ প্রবেশ নিষেধ
**ভাত-ইলিশের প্যাকেজ ১২০ টাকা