দার্জিলিং চায়ের দাম চলতি বছরে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলন কম হবার কারণ হিসেবে বাগান কর্তৃপক্ষের তরফে অনিয়মিত এবং সময়ে সময়ে দার্জিলিঙ অঞ্চলে অতিবৃষ্টিকেই দায়ী করে হচ্ছে।
অতিবৃষ্টির ফলে প্রায় ২০ শতাংশ ফসল নষ্ট হয়ে গেছে দার্জিলিঙের বিভিন্ন বাগানে। দার্জিলিং জেলার মোট ৮৭টি চা বাগানে বছরে প্রায় ৯ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়। এ বছর প্রথম ধাপে মাত্র ২.৭ মিলিয়ন কেজি চা পাতা পাওয়া গেছে।
তবে দ্বিতীয় ধাপে চা পাতা তোলার পরিমাণ কিছুটা বাড়তে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। সাধারণভাবে মে মাসের মাঝামাঝি প্রথম ধাপের চা পাতা তোলা হয়। জুন মাসে তোলা হয় দ্বিতীয় ধাপের চা পাতা।
জানা গেছে, চলতি বছরে বিখ্যাত ‘মকাইবাড়ি চা’ নিলামে প্রতি কেজি ১৯ হাজার ৩৬৫ রুপি পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। অন্যান্য ভালো দার্জিলিঙ চা বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি গড়ে ১২ হাজার রুপিতে।
বাগান কর্তৃপক্ষের সূত্রে জানা গেছে, দার্জিলিঙের দামি চা মূলত চলে যায় জাপান, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে। তবে কম উৎপাদনের প্রভাব ভারতের বাজারেও পড়বে বলে মনে করছেন বিক্রেতারা। এর ফলে দাম বাড়বে সমস্ত চায়েরই।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৭ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৭
এসএস/জেডএম