রাজ্যের মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা ও নওদায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলী, উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙা ও দেগঙ্গা, নদিয়ার শান্তিপুর ও নাকাশিপাড়া, পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে এবং কোচবিহার উত্তরে নির্বাচনী সহিংসতায় কমপক্ষে ১০জন নিহত হয়েছে।
রাজ্যের সংবাদমাধ্যমগুলো এ খবর নিশ্চিত করেছে।
দীর্ঘ টালবাহানা এবং আদালতে আইনি লড়াইয়ের পর সোমবার সকাল থেকেই রাজ্যে নবম পঞ্চায়েত ভোটের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সকাল সাতটা থেকে শুরু হওয়া এ ভোটগ্রহণ চলে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। রাজ্যের ২০টি জেলার ৪৬ হাজার ৭০৬টি বুথ কেন্দ্রে ভোট দেন ভোটাররা।
বিভিন্ন এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ হলেও কোনো কোনো জায়গায় শাসক দল তৃণমূলের সঙ্গে সিপিএম ও বিজেপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
কোথাও কেন্দ্র দখল, বুথে ঢুকে ব্যালট বাক্স ছিনতাই ও ব্যালট পুড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। গত কয়েকদিন ধরে ভোটগ্রহণ পর্বকে শান্তিপূর্ণ করতে রাজ্য প্রশাসন ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন সবরকম প্রস্তুতি নিয়েছিল। তবে তা খুব একটা কাজে দেয়নি।
এদিকে ভোটের আগের দিন অর্থাৎ রোববার (১৩ মে) রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানার বুধাখালী গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম কর্মী দেবু দাস ও তার স্ত্রী উষা দাসকে ঘুমন্ত অবস্থায় পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
নির্বাচন কমিশনের সূত্র বলছে, রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে দুপুর পর্যন্ত ৪১ শতাংশের বেশি ভোটগ্রহণ হয়েছে। আগামী ১৭ মে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৮
ভিএস/এমএ/