ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

বিজেপিতে তৃণমূল ত্যাগীদের আর নেওয়া হবে না

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২১
বিজেপিতে তৃণমূল ত্যাগীদের আর নেওয়া হবে না ...

কলকাতা: একুশের নির্বাচনে পাখির চোখ পশ্চিমবঙ্গ। তাই একাধিক অঙ্ক কষে বিজেপিকে পা ফেলতে হচ্ছে।

একদিকে যেমন চলতি মাসে রাজ্য জুড়ে শুরু হচ্ছে বিজেপির পরিবর্তনের রথযাত্রা। যেখানে থাকবেন কেন্দ্রীয় স্তরের একাধিক শীর্ষ নেতা। অন্যদিকে নির্বাচনের আগে বড় সিদ্ধান্ত নিল পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতারা।

বিজেপির নেতাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বর্তমানে মমতার দল ছেড়ে বিজেপিতে আসার হিড়িক পড়ে গেছে। যারা এখন বিজেপিতে আসতে চাইছে তাদের কাউকে আর দলে নেওয়া যাবে না।  

বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক তথা পশ্চিমবঙ্গের অবজারভার কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, তৃণমূলের এমন নেতাদের আর দলে নেওয়া যাবে না, যাদের কাছে ওই দলেই পরিষ্কার চিত্র নেই। আমরা চাই না অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তৃণমূল নেতারা বিজেপিতে যোগ দিক।

তবে রাজ্য বিজেপির সূত্রে জানা গেছে, মমতার দলের উচ্চস্থানীয় কোনো নেতা বা মন্ত্রী বিজেপিতে আসতে চাইলে তাদের নেওয়া হবে। তবে এখন থেকে একযোগে তৃণমূলত্যাগী নেতাদের বিজেপিতে যোগদান করানো হবে না।

বিজেপি সূত্রে এর কারণ হিসেবে জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের বিজেপির অভ্যন্তরে এই নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে। মাঝে মধ্যেই দ্বন্দ্ব তৈরি হচ্ছে। এর পাশাপাশি দিল্লিতে বসে কেন্দ্রীয় নেতারাও দলবদল বিষয়টিকে ভালো চোখে দেখছে না। বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের ভাবমূর্তি বজায় রাখতে, রাজ্য বিজেপি নেতাদের দিল্লি থেকে দল বদলের বিষয়টাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।

বিজেপির মতে, যে হারে তৃণমূল-কংগ্রেস ত্যাগীরা যোগ দিচ্ছে তাতে বিজেপি তৃণমূল-কংগ্রেসের বি-টিমে পরিণত হতে বেশি সময় লাগবে না। ফলে মমতা বিরোধী ভোট তাদের ঝুলিতে না পড়ার সম্ভবনাই বেশি। তাই সম্ভবত তৃণমূল ত্যাগীদের আর বিজেপিতে নেওয়া হবে না।
 
নির্বাচনকে মাথায় রেখে গোটা ফেব্রুয়ারিতে শুরু হচ্ছে বিজেপির ‘পরিবর্তনের রথযাত্রা’। সেই যাত্রার সূচনা করতে রাজ্যে আসছেন বিজেপির একাধিক শীর্ষ নেতা। ৬ ফেব্রুয়ারি রাজ্যে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। ফের তিনি আসবেন ৯ তারিখ।

৭ তারিখ আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অবশ্য প্রথমে প্রধানমন্ত্রী সরকারি কাজে হলদিয়া যাচ্ছেন। সেই মঞ্চেও সম্ভবত মমতাকেও দেখা যেতে পারে। এরপর ১১ ফেব্রুয়ারি রাজ্যে আসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

আগামী ৬ তারিখ নবদ্বীপ থেকে জেপি নাড্ডার হাত দিয়ে রথযাত্রার উদ্বোধন হবে। এরপর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ১১ ফেব্রুয়ারি কোচবিহার জেলা থেকে একটি রথযাত্রার সূচনা করবেন। মোট রাজ্যের পাঁচজোনে পাঁচটি রথযাত্রার সূচনা করবে কেন্দ্রীয় নেতারা। এক একটি যাত্রা চলবে ২০ থেকে ২৫ দিন।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২১
ভিএস/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।