আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরা রাজ্যে এবছর চাপাতার বাম্পার উৎপাদন হবে বলে আশা করছে ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগম (টিটিডিসি)। এবছর শীতে চা গাছের প্রুনিংয়ের পর বসন্ত ঋতুর শুরুতে বৃষ্টি হয়েছে।
তিনি জানান, প্রতি বছর যেসব বাগানে পানি সেচ দেওয়ার ব্যবস্থা থাকে সেখানে সেচ দেওয়া হয়ে থাকে। আর যেসব বাগানে সেচের ব্যবস্থা নেই সেসব বাগানে পানির জন্য বৃষ্টির ওপর নির্ভর করতে হয়। তবে বৃষ্টির পানি পেলে চারা গাছের বৃদ্ধি ভালো হয়। বিশেষ করে বসন্তকালে বৃষ্টি হলে গাছের কুঁড়ি ভালো করে বের হয় এবং ডট কম থাকে (ডট হচ্ছে গাছের প্রুনিংয়ের পর শুষ্ক ডাল, যাতে পাতা গজায়নি)। বৃষ্টির পানি পেলে ডট এর সংখ্যা কম হয় এবং উৎপাদন ভালো হয়। এবছর কয়েক দফায় বৃষ্টি হওয়ায় গাছে পাতা চলে আসে। গত ১৫ মার্চ থেকে চা পাতা তোলার পাশাপাশি প্রক্রিয়াকরণ শুরু হয়েছে। কুঁড়ি আসার পর যত বেশি পরিমাণ পাতা তোলা হয়, তত ভালো হয়। সেসঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃষ্টি হলে গাছে কুঁড়ির পরিমাণ আরও ভালো হয়।
মৌসুমের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে যে কুঁড়ি তোলা হয় সেসব কুঁড়ি থেকে তৈরি চায়ের চাহিদা খুব বেশি থাকে। এই চা সবচেয়ে বেশি সুগন্ধ হয়ে থাকে। তাই অনেক বিপনন সংস্থা এই সব চা পাতা নিলাম কেন্দ্র থেকে যত বেশি পরিমাণে সম্ভব কিনে নিয়ে মজুদ করে রাখে এবং সারাবছর ধরে বিক্রি করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২১
এসসিএন/এমআরএ