ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

তরমুজ চাষে সফল ত্রিপুরার গৃহবধূ নীলিমা

সুদীপ চন্দ্র নাথ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১০ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২১
তরমুজ চাষে সফল ত্রিপুরার গৃহবধূ নীলিমা

আগরতলা (ত্রিপুরা): স্বামী অফিসে অথবা বাইরে রাতদিন পরিশ্রম করে রোজগার করবেন। আর সেই রোজগারে সংসার চালাবে।

স্ত্রী কেবল ঘর-সংসার সামলাবেন, এ ভাবনা এখন সেকেলে। নারীরাও যে পুরুষের মতো কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে সফল হতে পারেন তার জলজ্যান্ত উদাহরণ খোয়াই জেলার অন্তর্গত তেলিয়ামুড়া এলাকার গৃহবধূ নীলিমা ধর কর্মকার। তিনি ঘরের সব কাজ সামলে গত এক দশক ধরে দিব্যি কৃষিকাজ করে যাচ্ছেন।

ত্রিপুরা রাজ্যের খোয়াইসহ বেশকিছু জেলাতে তরমুজ চাষ হয়। তেলিয়ামুড়ার নেতাজিনগর এলাকার বাসিন্দা কৃপানিধি কর্মকারের স্ত্রী নীলিমা ধর কর্মকার দীর্ঘ ১০ থেকে ১২ বছর ধরে তরমুজ চাষ করে আসছেন। এ বছরও তিনি এক হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন।

এবারও তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানান নীলিমা ধর কর্মকার। তিনি জানান, গরমের সময় সবচেয়ে মজার, উপকারি আর প্রশান্তির ফল তরমুজ। তরমুজে পানির পরিমাণ শতকরা ৯২ শতাংশ। গ্রীষ্মের দুপুরে প্রখর রোদে রসালো ফল তরমুজ চাহিদা ব্যাপক। গরমের হাত থেকে কিছুটা প্রশান্ত পেতে অনেকেই তরমুজ খান।

তিনি আরও জানান, বর্তমানে তেলিয়ামুড়া বাজারে ১৫ থেকে ২০ রুপি প্রতি কেজি পাইকারি দরে তার ক্ষেতের তরমুজ বিক্রি করছেন। এ তরমুজ চাষ করে তিনি বেশ লাভবান। অন্যান্য সবজির তুলনায় তরমুজ চাষে লাভ বেশি। তবে তার এ কাজে স্বামী কৃপানিধি কর্মকারসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের পূর্ণ সহযোগিতা রয়েছে বলেও জানান তিনি। তেলিয়ামুড়া কৃষি কর্মকর্তারাও সহায়তা করছেন।

এছাড়া তার তরমুজ ক্ষেতে ৩ থেকে ৪ জন নারী শ্রমিক কাজ করে পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা আনতে পেড়েছেন। আগামী দিনেও তিনি তরমুজ চাষের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন বলেও জানান।

বাংলাদেশ সময়: ০৯০৬ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২১
এসসিএন/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।