ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

মোদীর মন্ত্রিসভায় বাংলা থেকে দায়িত্ব পেলেন চারজন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০৭ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০২১
মোদীর মন্ত্রিসভায় বাংলা থেকে দায়িত্ব পেলেন চারজন ...

কলকাতা: মোদীর মন্ত্রিসভায় বুধবার (৭ জুন) সন্ধ্যায় বড়োসড়ো রদবদল হলো। মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন ৪৩ জন সংসদ সদস্য।

বাংলা থেকে মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছন ৪ জন। উল্লেখযোগ্য ভাবে নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভায় জায়গা পেলেন শান্তনু ঠাকুর। এই প্রথম বনগাঁ মতুয়া সম্প্রদায়ের কোনো প্রতিনিধি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

রাজ্যের উত্তরবঙ্গকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে মোদীর মন্ত্রিসভায় জায়গা পেলেন কোচবিহারের নিশীথ প্রামাণিক এবং আলিপুরদুয়ারের জন বার্লা। সাথে মন্ত্রিসভায় জায়গা পেলেন বাঁকুড়ার সংসদ সদস্য সুভাষ সরকার এবং বনগাঁর শান্তনু ঠাকুর।

এদিন সকাল থেকেই পশ্চিমবাংলাসহ দেশের কোন কোন সংসদ সদস্য এবার মন্ত্রিসভায় স্থান পাবেন তা নিয়ে জোর চর্চা চলছিল। বেলা গড়াতেই প্রতিমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী এবং আসানসোলের বাবুল সুপ্রিয়। মোদীর মন্ত্রিসভা থেকে বাবুল এবং দেবশ্রীর পদত্যাগ প্রসঙ্গে ঘুরিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদল প্রসঙ্গে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এতে বিজেপির লাভ হতে পারে, মানুষের কোনো কাজ হবে না। এরপরই বাবুল ও দেবশ্রীর ইস্তফা প্রসঙ্গে মুখ খোলেন মমতা।

তিনি বলেন, বাবুল-দেবশ্রী কি দোষ করল? ওরা কাকে মন্ত্রী করবে, কাকে করবে না, কাকে ঘাড় ধাক্কা দেবে সেটা ওদের ব্যাপার। কিন্তু, আজ বাবুল-দেবশ্রীও খারাপ হয়েছেন, ওকেও ইস্তফা দিতে হয়েছে। আসলে তাদের বিনাশকালে বুদ্ধিনাশ হয়েছে। যে সমস্ত মানুষকে নিয়ে এখন বাড়াবাড়ি হচ্ছে, তারা কখনও মানুষের কাজে লাগবে না।

ধারণা করা হচ্ছে বাবুল এবং দেবশ্রীর হয়ে মমতার কটাক্ষ আসলে তাদের দলে টানার মাস্টার স্ট্রোক হতে পারে। তবে মোদীর মন্ত্রিসভার রদবদলের কারণ হিসেবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আগামী বছর উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ডসহ ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে ভোট রয়েছে। তাই মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণে এই বিষয়টির ওপর বিশেষ জোর দিয়েছে।  

অন্যদিকে, বাংলা থেকে চারজনের মন্ত্রী হওয়া নিয়ে যখন উচ্ছ্বাস শুরু হয়েছে, ঠিক সেই সময়ই রাজ্য বিজেপির মধ্যে সংঘাত শুরু হয়েছে। কার্যত রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মাতব্বরির অভিযোগ তুলেছেন আর এক সংসদ সদস্য সৌমিত্র খাঁ। তার অভিযোগ, বারবার দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ভুল বোঝাচ্ছেন শুভেন্দু। উনার জন্য দল চালানোই মুশকিল হয়ে যাচ্ছে।  

সৌমিত্র বলেন, বিধানসভায় যিনি দলনেতা হয়েছেন, তিনি শুধু নিজেকে জাহির করছেন, দলকে নয়। যেভাবে দলের কাজকর্ম চলছে, তাতে কাজ চালানো মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বার বার দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ভুল বোঝাচ্ছেন। দেখাচ্ছেন, তিনিই বিজেপি-র সবচেয়ে বড় নেতা।

বাংলাদেশ সময়: ০২০৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০২১
ভিএস/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।