কলকাতা: কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনোর মধ্য দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চার বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট চলছে।
শনিবার (৩০ অক্টোবর) ভোট হচ্ছে কোচবিহার জেলার দিনহাটা, নদিয়া জেলার শান্তিপুর, উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা বিধানসভা কেন্দ্রে।
বেলা বাড়তে বিক্ষিপ্ত কয়েকটি ঘটনার খবর সামনে এসেছে। ভোটদানে বাধা এবং ভোটারদের প্রভাবিত করা হচ্ছে-এমন অভিযোগ সব দলই একে অপরের বিরুদ্ধে করছে। সকাল ৯টা পর্যন্ত ভোটের হার গড়ে ১১ শতাংশের মতো।
করোনাবিধি মেনে সুষ্ঠু নির্বাচন করাতে মরিয়া সেখানকার নির্বাচন কমিশন। নিয়মশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ১০০ শতাংশ বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। প্রতিটি বুথে রয়েছে চারজন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। দিনহাটায় ২৭ কোম্পানি, খড়দহে ২০ কোম্পানি, শান্তিপুরে ২২ কোম্পানি ও গোসাবায় ২৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা আছে।
ওই চার কেন্দ্রের একুশের বিধানসভা নির্বাচনে দিনহাটা ও শান্তিপুর কেন্দ্রে বিজেপি, তাদের দুই সংসদ সদস্যকে প্রার্থী করেছিল। জয় পেয়েছিল দুই সংসদ সদস্য প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার। কিন্তু তারা সংসদ সদস্য পদ ছাড়তে না চাওয়ায় উপনির্বাচন হচ্ছে এই দুই কেন্দ্রে।
অপরদিকে খড়দহ ও গোসাবায় জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থীরা। খড়দহ থেকে জয়ী হয়েছিলেন কাজল সিনহা ও গোসাবায় জয়ী হন জয়ন্ত নস্কর। কিন্তু এই দুই জয়ী প্রার্থী করোনায় মারা যান। ফলে উপনির্বাচন হচ্ছে খড়দহ ও গোসাবায়।
এবারে খড়দহে তৃণমুলের প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। যিনি একুশের নির্বাচনে ভবানীপুর থেক জয়ী হয়েছিলেন। পরে মমতা বন্দোপাধ্যায় সেই কেন্দ্র প্রার্থী হবেন জেনে ভবানীপুর থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। মমতা বন্দোপাধ্যায় উপনির্বাচনে জয়ী হওয়ার দিনই ঘোষণা করেন খড়দহ থেকে প্রার্থী হবেন শোভন।
যে চারটি কেন্দ্রে এদিন উপনির্বাচন হচ্ছে, তার দুটিতে বিজেপি ও বাকি দুটিতে জয় পেয়েছিল তৃণমূল। এবার দেখার বিষয় যে, এই উপনির্বাচনে নিজেদের কেন্দ্র বিজেপি ধরে রাখতে পারে কি না। অন্যদিকে নিজেদের আসন বৃদ্ধির হাতছানি তৃণমূলের সামনে। এই উপনির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে ২ নভেম্বর।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২১
ভিএস/জেএইচটি