আগরতলা (ত্রিপুরা): আগরতলার লেম্বোছড়া এলাকার মৎস্য প্রজনন কেন্দ্রে রঙিন মাছের প্রজনন এবং চাষ বিষয়ক বিশেষ কর্মশালা শুরু হয়েছে, যা আগামী শনিবার পর্যন্ত চলবে।
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) তিন দিনব্যাপী এই কর্মশালার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মৎস্য দপ্তরের মন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়া, নৈনিতালের ঠাণ্ডা পানির মৎস্য গবেষণা কেন্দ্রের কর্মকর্তা প্রমোদ কুমার পাণ্ডে, ত্রিপুরা সরকারের মৎস্য দপ্তরের কর্মকর্তা ডি কে চাকমা, বিজ্ঞানী ড. অমিত পাণ্ডে, ড. রাধেশ্যাম হালদার, অভয় কুমার গিরি ও ডা. প্রজ্ঞান দাশ।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর অ্যাগ্রিকালচার রিসার্চের (আইসিএর) আওতায় উত্তরাখণ্ড রাজ্যের নৈনিতালের ঠাণ্ডা পানির মৎস্য গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে কর্মশালায় রঙ্গিন মাছ চাষ বিষয়ে একটি গাইড বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা। এ সময় প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে প্রয়োজনীয় অ্যাকুরিয়াম তৈরির সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।
মন্ত্রী মেভার কুমার জমাতিয়া বলেন, রাজ্যের মাছের ঘাটতি পূরণ করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চাইলে এই চাহিদা রাজ্য থেকেই পূরণ করা সম্ভব। ১০ বছর আগে পাহাড়ি এলাকায় বৃষ্টির পানি ধরে রাখতে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। ওই প্রকল্প অনুসারে পাহাড়ের নিচের অংশে চেক ড্যাম তৈরি করে সেখানে বৃষ্টির পানি ধরে রাখা হয়। এই পানির মধ্যে মাছ চাষ করা সম্ভব। তবে আগে এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
বর্তমান সরকার এই জলাগুলোতে মাছ চাষের উদ্যোগ নিয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরায় অনেক ধরনের দেশীয় প্রজাতির রঙ্গিন মাছ রয়েছে। এই মাছগুলো খাল-বিল থেকে সংগ্রহ করে কৃত্রিমভাবে চাষের ব্যবস্থা করতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এসব মাছ বিদেশে বিক্রি করে মানুষ আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে।
নৈনিতালের ঠাণ্ডা পানির মৎস্য গবেষণা কেন্দ্রের কর্মকর্তা প্রমোদ কুমার পাণ্ডে বলেন, ভারতে রঙিন মাছের প্রায় ৮৫ শতাংশ উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে পাওয়া যায়। এ অঞ্চলে এমন অনেক প্রজাতির রঙ্গিন মাছ রয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে যার একেকটির দাম ৫ লাখ রুপি। তবে ওই অঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষ এ বিষয়ে অবগত নন।
ত্রিপুরা সরকারের মৎস্য দপ্তরের কর্মকর্তা ডি কে চাকমা বলেন, মৎস্য দপ্তরের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তারা যেন মাছ চাষি এবং জেলেদের চাষের বিষয়ে সচেতন ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন। মৎস্য দপ্তর জেলেদের কাছ থেকে বাজারের চেয়ে একটু বেশি দামে মাছ কিনে প্রতিপালন করবে। এর দুটি সুবিধা রয়েছে। একদিকে জেলেরা বেশি দামে মাছ বিক্রি করতে পারবে এবং মৎস্য দপ্তর বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মাছের সংখ্যা বাড়াতে সক্ষম হবে।
কর্মশালায় রাজ্যের ২০ জন মৎস্য চাষি অংশ নিচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২১
এসসিএন/এনএসআর