ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উদযাপন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩২ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২২
কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উদযাপন

কলকাতা: নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে কলকাতায় পালিত হয়েছে বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস।

কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের উদ্যোগে দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) বিকেলে বঙ্গবন্ধুর ওপর নির্মিত ‘চিরঞ্জীব মুজিব’ শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

এরপর শিশু দিবস উপলক্ষে যেসব শিশু-কিশোররা বঙ্গবন্ধুর ওপর চিত্রাঙ্কন এবং প্রবন্ধ রচনা করেছিল তাদের উপহার তুলে দেওয়া হয়।

খুদে আঁকিয়েকে উপহার তুলে দেওয়া হচ্ছে

এদিন ডেপুটি হাইকমিশন প্রাঙ্গণের বঙ্গবন্ধু মঞ্চে আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন সবাই। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের নগর উন্নয়নমন্ত্রী, পরিবহনমন্ত্রী, আবাসন দপ্তরের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

ফিরহাদ বলেন, একদিকে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন অন্যদিকে বাংলাদেশে জাতীয় শিশু দিবস। আমরা এই বাংলায় থাকলেও বাংলাদেশ নিয়ে অত্যন্ত গর্ববোধ করি। কারণ আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলি, আর সেই ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে বাংলাদেশ। যদি বাংলাদেশে না হতো তাহলে আমরা পশ্চিমবঙ্গবাসী বাংলা ভাষা নিয়ে গর্ববোধ করতে পারতাম না।

তিনি বলেন, যদি বঙ্গবন্ধু না জন্মাতেন তাহলে পাকিস্তানের অত্যাচারী সেনা এবং রাজাকারদের হাত থেকে বাঙালি মুক্তি পেতো না। বাঙালির মুক্তির জন্য নিজের জীবন তুচ্ছ করে মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। উনি না জন্মালে স্বাধীন বাংলাদেশ হতো না। বাংলা ভাষা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতো না। তাই এই দিনটিতে আমরা পশ্চিমবঙ্গবাসী বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানাই।

মেয়র ফিরহাদ তার বাবার প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, আমার বাবা ছিলেন বঙ্গবন্ধু অন্তপ্রাণ। আমি তার কাছ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালোবাসা-আবেগ পেয়েছি।

তিনি আরো বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারিতে যখন বাঙালিদের হত্যা করা হচ্ছে, তখন এই বাংলায় পাকিস্তানিদের প্রতি ঘৃণা বাড়ছিল। বরাবরই পশ্চিমবঙ্গে উর্দুভাষীর সংখ্যা বেশি। আমি তখন স্কুলে পড়ি। আমার বন্ধুরা আমাকে প্রশ্ন করে, আমি মুসলমান না বাঙালি? আমি সেই প্রশ্নের উত্তর আমার বাবার কাছে জানতে চেয়েছিলাম। তিনি বলেছিলেন, বলবি আমি বঙ্গবন্ধুর মতো মুসলমান এবং আমি বঙ্গবন্ধুর মতো বাঙালি। আমিও স্কুলে তাই বলেছিলাম। এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডের ঘটনা নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন মেয়র।

বক্তব্য রাখছেন শাহরিয়ার কবীর

এদিনের আলোচনায় বিশিষ্ট অতিথিদের মধ্যে ছিলেন- বিশিষ্ট সাংবাদিক ও চিত্রপরিচালক শাহরিয়ার কবীর, বিশিষ্ট সাংবাদিক মানস ঘোষ ও ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হাসান।

এর মধ্যে শাহরিয়ার কবির স্মৃতিচারণ করেন, ৫৩ বছর আগের বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন এবং সেদিন ইন্দিরা গান্ধীর ঢাকায় আগমন নিয়ে। মানস ঘোষ তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ এবং বাংলাদেশের উন্নতির দিকগুলো।

স্বাগত বক্তব্যে ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হাসান তুলে ধরেন বাংলাদেশ কীভাবে উন্নয়নশীল দেশের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এরপর কলকাতায় অধ্যায়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

এর আগে সকালে দিনটি উপলক্ষে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হাসান। এরপর মিশন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মিশনের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২২
ভিএস/এনএসআর
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।