কলকাতা: ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত ভারত থেকে ১৩৯ জন বাংলাদেশিকে দেশে পাঠানো সম্ভব হয়েছে। এই কাজে সহযোগিতা করেছে কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ‘নারী ও শিশু বিকাশ এবং সমাজ কল্যাণ দপ্তর’।
সে ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (২২ মার্চ) ভারতে পাচার হওয়া ২৩ জন বাংলাদেশিকে পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে, ২০২১ সালের ২৫ জানুয়ারি ৩৮ জন, ২০ সেপ্টেম্বর ৩৭ জন, ৭ অক্টোবর ২০ জন এবং চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি ২১ জন নারী ও শিশুকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। মঙ্গলবার ছিল পঞ্চম প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া।
এসব বাংলাদেশি নারী ও তরুণ তরুণীরা বিভিন্ন সময় প্রলোভোনের ফাঁদে পা দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে এসে আটক ছিল। একই ঘটনা ঘটেছে ওই ২৩ জন বাংলাদেশির ক্ষেত্রেও। তারা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সেইফ হোমে অবস্থান করছিলেন। অবস্থানকালীন এসব বাংলাদেশিদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার, পরে কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনকে জানায়। উপ-হাইকমিশন সেইফ হোমগুলো পরিদর্শন করে সেসব তথ্য বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করে।
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের নাগরিকত্ব যাচাই প্রক্রিয়া সম্পাদনের পর, কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন তাদের ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করে। এ দিনের এই ২৩ জনের মধ্যে ৬ জন পূর্ণবয়স্ক নারীসহ ৮ জন তরুণী ও ৯ জন তরুণ ছিল। তারা ভারতের বিভিন্ন সেইফ হোমে নানা কারণে আটক ছিলেন।
২৩ জন বাংলাদেশিদের দেশে পাঠানোর দায়িত্বে ছিলেন কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) শামীমা ইয়াসমিন স্মৃতি। বেনাপোলের স্থানীয় জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের কাছে তাদের হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
এ সময় ভারতের বিভিন্ন সংস্থাসহ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা সীমান্তে উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমাজকল্যাণ দপ্তরের সহযোগিতায় ভারতে আটকে থাকা নারী, শিশু, তরুণ, তরুণীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২১
ভিএস/জেডএ