ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ইডির তদন্তে পি কে হালদারের বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪২ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২২
ইডির তদন্তে পি কে হালদারের বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য

কলকাতা: ইডির তদন্ত যতই এগোচ্ছে, ততই পি কে হালদারের বিষয়ে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। ইডি কর্মকর্তারা এখন বুঝতে পারছেন, যেভাবে দ্রুত পি কে হালদার পশ্চিমবঙ্গে সম্পত্তি কিনেছিলেন, তাতে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল এবং কিছু বিরোধী দলের রাজনৈতিক ক্ষমতাসীন প্রভাবশালী নেতাদের সহযোগিতা ছিল।

বিশেষ করে সেইসব বিরোধী নেতারা যারা এক সময় শাসকদলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এখানেই শেষ নয়, পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি বাংলাদেশের রাঘববোয়ালদেরও কিছু নাম উঠে আসছে।

ইডি সূত্রে জানা যায়, পি কে হালদারসহ যে পাঁচজন ওই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দপ্তরের রিমান্ডে আছেন, তাদের মোবাইল থেকে রোববার (১৫ মে) রাতে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের স্মার্টফোনগুলো লক করা ছিল। প্রথমে তাদের মোবাইল খোলার জন্য সহযোগিতা চাইলে তারা (পি কে ও অন্যরা) করেননি। এরপর নিজেদের সফটওয়্যারের মাধ্যমে সেসব মোবাইলের লক খোলার পরই এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে।

আরও জানা যায়, প্রথমদিকে পি কে হালদাররা কোনো সহযোগিতা না করলে এখন তারা ইডিকে সহযোগিতা করছেন। আর সে কারণে পশ্চিমবাংলা এবং বাংলাদেশের রথী মহারথীদের নাম উঠে আসছে। ফলে ইডির নজরে পড়েছে দুই বাংলার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা।

প্রশান্ত কুমার হালদার শুধু বাংলাদেশের টাকা আত্মসাৎ করেনি। পশ্চিমবঙ্গের দু’চারটে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক মিলিয়ে মোট ২০টা ব্রাঞ্চ থেকে তার পরিবার টাকা আত্মসাৎ করেছে। এছাড়া জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশ থেকে হুন্ডির মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গে আশা অবৈধ কালো টাকার পরিমাণ ৩০০ কোটি রুপি নয়। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ মিলিয়ে কালো টাকার পরিমাণ এখন অবদি প্রায় ৩ হাজার ৬০০ কোটি রুপি। টাকার অঙ্ক আরও বাড়বে বলেই ধারণা।

বাংলাদেশ থেকে একাধিক হুন্ডির মাধ্যমে এসব টাকা পশ্চিমবঙ্গে এসছে। আর এসব টাকা পি কে হালদাররা নিত কলকাতার বড়বাজারের হাওলাদারের কাছ থেকে। একাধিক হুন্ডির মাধ্যমে এসব টাকা নিত তারা। যে কারণে সেই সব হুন্ডি পরিচালনাকারীর নাম ইডির নজরে এসেছে। তবে তদন্ত যে দিকে এগোচ্ছে তাতে কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল অনেকটা কোণঠাসা। সম্ভবত সে কারণে পশ্চিমবাংলার সংবাদমাধ্যমগুলো প্রশান্ত কুমার হালদার নিয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে না।

তবে তদন্ত যেদিকে যাচ্ছে সম্ভবত খুব শিগগিরই ময়দানে নামবে সিবিআই। কারণ এত টাকা কোথায় গেল? শুধুই কি সম্পত্তি নাকি এসব টাকা রাঘব বোয়ালদের পকেটেও আছে, যে কারণে প্রশান্ত কুমার হালদার দিনে দিনে এত সম্পত্তি করেছে এবং ভারতীয় নথি বানিয়ে পশ্চিমবঙ্গে থাকতে পেরেছেন।

রিমান্ডে থাকা ৫ জন এবং একজন নারী যিনি আগে থেকেই ব্যাঙ্কশাল কোর্টের রায় অনুযায়ী জেলে আছেন, তাদের সবাইকে মঙ্গলবার (১৭ মে) বেলা বারোটার পর আদালতে তোলা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪২ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২২
ভিএস/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।