কলকাতা: বাংলাদেশের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎকারী ভারতে বন্দি প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার ও তার ছয় সহযোগীকে ফের ২২ সেপ্টেম্বর আদালতে তোলা হবে। বুধবার (১০ আগস্ট) এ নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতার নগর দায়রা আদালতের সিবিআই স্পেশাল কোর্ট-৩ এর বিচারক জীবন কুমার সাধু।
গত ১৫ জুলাই শেষবার পি কে হালদারদের আদালতে তোলা হয়েছিল। ২৭ দিন পর বুধবার তাদের আদালতে তোলা হয়।
এদিন ভারতীয় তদন্তকারী সংস্থার (ইডি) আইনজীবী অরিজিত চক্রবর্তী বলেন, আজ সাড়ে চাড় হাজার পাতার ‘রিলায়েড আপন কপি’ আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। ২২ সেপ্টম্বর আসামিদের আদালতে তোলা হবে। ভেরিফিকেশনের জন্য বিরোধীপক্ষের আইনজীবিদের সেই কপি দেওয়া হবে। ততদিন তারা জেল হেফাজতে থাকবে। তবে নতুন কোনো সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়নি বলে জানান ইডির আইনজীবী।
অভিযুক্তদের বিপক্ষে যে তথ্য ইডি সংগ্রহ করেছে তার থেকে যেগুলো যোগ্য অভিযোগ বলে মনে করা হয়েছে, তাকেই ভারতীয় আইন অনুযায়ী ‘রিলায়েড আপন কপি’ বলা হয়।
১৫ জুলাই হালদারদের জেরা করে ইডি যে তথ্য পেয়েছে তা একত্রিত ৬ হাজার পাতার নথি তৈরী করেছিল। তার প্রেক্ষিতেই হালদারদের বিরুদ্ধে ইডির পক্ষ থেকে ১০০ পাতার চার্জশিট আদলতে জমা দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করা পি কে হালদার এবং তার ছয় সহযোগীকে গত ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪পরগনার অশোকনগর থেকে গ্রেফতার করে ইডি। এরপর ১৪ দিন নিজের রিমান্ডে পায় সংস্থাটি। গত ২৭ মে আদালতের রায় অনুযায়ী, বিচার বিভাগীয় তদন্তের কারণে ১১ দিনের জুডিশিয়াল কাস্টডি (জেসি) হয় পি কে হালদারদের।
ঠিক একইভাবে ৭ জুন আদালতে তোলা হলে তাদের বিরুদ্ধে ১৪ দিনের জেসি হয়। ২১ জুন আদালতের রায় অনুযায়ী, আরও ১৪ দিনের জেসি হয়। এরপর ৫ জুলাই আদালতে তোলা হলে ১০ দিনের জেসি দেন আদালত। ১৫ জুলাইয়ের রায় অনুযায়ী, ফের ১০ আগস্ট শুনানি হয় হালদারদের। এদিন ২২ সেপ্টেম্বর হালদারদের ফের আদালতে তোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২২
ভিএস/এসএ