ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশেষজ্ঞ টিম 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০২২
পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশেষজ্ঞ টিম 

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। রাজ্যের তুলনায় কলকাতার অবস্থা বেশি শোচনীয়।

তার মধ্যে দক্ষিণ কলকাতায় পজিটিভের হার দ্বিগুণ। শহরের দক্ষিণে প্রান্তে সংক্রমণের হার ৮৫ শতাংশ।  

স্বাস্থ্য দফতর তথ্য অনুযায়ী, শহরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। গোটা রাজ্যে সংখ্যাটা প্রায় ৫০ হাজার পার করেছে।  

এই পরিস্থিতিতে এবার জেলায় জেলায় টিম পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। জেলায় জেলায় গিয়ে সেখানকার ডেঙ্গু পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবে মমতার টিম। মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) রাজ্যের প্রশাসনিক ভবন নবান্নর তরফ থেকে বলা হয়েছে, যে সব জেলায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি বেশি খারাপ এবং উদ্বেগজনক, সেখানে সরকারি বিশেষজ্ঞ টিম পাঠানো হবে।

মূলত, রাজ্যের ৬টি জেলায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। কলকাতা-সহ সেই তালিকায় রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদ এবং জলপাইগুড়ি। প্রথমধাপে এই ছয় জেলাতেই বিশেষজ্ঞ টিম পাঠাবে নবান্ন। পরে দক্ষিণ ২৪ পরগনাসহ আরও কয়েকটি জেলায় বিশেষজ্ঞ টিম পাঠানো হবে।  

সেসব টিম সরেজমিনে খতিয়ে দেখবে সংশ্লিষ্ট জেলার ডেঙ্গু পরিস্থিতি। পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। পাশাপাশি দরকার হলে সেই জেলাভিত্তিক টিমও গঠন করা হবে। এমনই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।

ইতোমধ্যে, ‘পশ্চিমবঙ্গের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে’, জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমাবার (৭ নভেম্বর) চিঠিতে তিনি রাজ্যে কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর অনুরোধ করেছেন। যদিও গতকাল তার পাল্টা জবাবও দিয়েছেন শাসক দলের এমপি শান্তনু সেন। তিনি জানিয়েছিলেন, করোনার মতো ডেঙ্গু মোকাবিলাতেও রাজ্য সরকার সদা সচেষ্ট।

তবে ধারণা করা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে চিঠি যেতেই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য প্রশাসন। এর আগে রাজ্যের ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় একাধিক বৈঠক করছেন মুখ্য সচিব। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলায় জেলায় স্বাস্থ্য কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। প্রত্যেকটি জেলায় ডেঙ্গু টেস্ট আরও বাড়ানো ও আক্রান্তদের চিকিৎসা নজরদারি চালানো নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। কিন্তু নবান্ন থেকে সরাসরি কোনো টিম যায়নি জেলাগুলোয়।

চিকিৎসকদের মতে, শুরুর দিকে পশ্চিমবঙ্গে প্রভাব বিস্তার করেছিল ডেঙ্গু-৩ ভেরিয়্যান্ট। পরে শহরে সংক্রমণের হার বাড়ায় ডেঙ্গু-২ প্রজাতি।  

উল্লেখ্য, ডেঙ্গু-৩ এর প্রভাবে সাধারণত প্লাটিলেট কমে গিয়ে রোগীর বিপদ ডেকে আনে এবং ডেঙ্গু-২ প্রজাতি প্রভাবে রোগীর একাধিক অঙ্গে শক সিন্ড্রোম ডেকে আনে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০২২
ভিএস/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।