ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘আসিয়ান, দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাণিজ্যিক কেন্দ্র হতে পারে বাংলাদেশ’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩
‘আসিয়ান, দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাণিজ্যিক কেন্দ্র হতে পারে বাংলাদেশ’

ঢাকা: আসিয়ান, দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জন্য ব্যবসার সেতুবন্ধন স্থাপন ও দেশগুলোর জন্য বাংলাদেশ বাণিজ্যিক কেন্দ্র হতে পারে বলে মনে করে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানী ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ভিয়েতনামের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে এ মন্তব্য করেন এফবিসিসিআই-এর সহ-সভাপতি ড. যশোদা জীবন দেবনাথ।

ভিয়েতনামের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন দেশটির ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির প্রেসিডেন্ট ভং দিন হুয়ে।

এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি ড. যশোদা জীবন দেবনাথ বলেন, বাংলাদেশ শিগগিরই এলডিসি গ্রাজুয়েশনের মাইলফলক স্পর্শ করবে। ইতোমধ্যে আমরা দক্ষিণ এশিয়ার উদীয়মান অর্থনৈতিক দেশ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছি। স্বল্প উন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশকে আসিয়ান, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়াসহ আঞ্চলিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে একাধিক এফটিএ এবং পিটিএ চুক্তি সম্পন্ন করতে হবে।

তিনি বলেন, ভিয়েতনামের সাথে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য জোরদার এখন সময়ের দাবি। এর ফলে বাংলাদেশ নতুন নতুন বাজারে প্রবেশ আরও সহজতর হবে। বিশেষ করে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য জোরদারে ভিয়েতনাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। অর্থনৈতিক সম্ভাবনা এবং ভৌগোলিক অবস্থানের আসিয়ান, দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জন্য ব্যবসার সেতুবন্ধন স্থাপনের মাধ্যমে বাণিজ্যিক কেন্দ্র হতে পারে বাংলাদেশ।

আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর সাথে লাভজনক বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ‘রিজিওনাল কম্প্রেহেনসিভ ইকনোমিক পার্টনারশিপ-আরসিইপি’তে যুক্ত হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ভিয়েতনামের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির প্রেসিডেন্ট ভং দিন হুয়ে তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের মধ্যে অসাধারণ বন্ধুত্ব বিরাজ করছে। ভারতের পরে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ভিয়েতনামের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বাণিজ্যিক অংশীদার। সম্প্রতি দুই দেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে। আমরা এই সম্পর্ককে আরও বহুদূর এগিয়ে নিতে চাই।

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য জোরদারে ভিয়েতনাম চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ভিসিসিআই) এবং দেশটির সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এদেশের সরকার ও এফবিসিসিআই এর সাথে সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে বলেও জানান তিনি।

সৌজন্য সাক্ষাতের পরে বিকেলে ‘ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতার উন্নয়নে নীতি ও আইন বিষয়ক ফোরাম’ শীর্ষক আলোচনা এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই এর সহ-সভাপতি শমী কায়সার। স্বাগত বক্তব্যে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য অংশীদারিত্ব দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি বিশেষত্ব। যদিও ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বিদ্যমান কিন্তু এখন আমাদের মধ্যে বাণিজ্যের মধ্যে অনেক সম্ভাবনা বিদ্যমান।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ন্যুয়েন মান কুঅংকে, এফবিসিসিআই-এর মহাসচিব মো. আলমগীর, ইন্টারন্যাশনাল উইংয়ের প্রধান রাষ্ট্রদূত মসুদ মান্নান এনডিসি এবং বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩
এমকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।