ঢাকা: যুক্তরাজ্যের নতুন রপ্তানি নীতিমালায় শুল্কমুক্ত রপ্তানি কাঠামোর মেয়াদ বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্ততকারক ও রপ্তানিকারক মালিক সমিতি (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান।
সম্প্রতি বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের কাছে লিখিত চিঠিতে এই অনুরোধ জানান তিনি।
চিঠিতে বিজিএমএই সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, আগের অনুরোধের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে বলতে চাই, এই উত্তরণকালের মেয়াদ ২০৩২ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হোক। করোনা মহামারির কারণে আমাদের তৈরি পোশাক শিল্প ও বৈশ্বিক ফ্যাশন শিল্প মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এছাড়া আরও কিছু কারণ তুলে ধরেন ফারুক হাসান। যেমন মহামারি পরবর্তী বাজারের অস্থিরতা, ক্রেতাদের পণ্য ক্রয়ের ধরন ও উৎস পরিবর্তন, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি ইত্যাদি।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, জ্বালানির দাম বাড়ার কারণে যে অস্বাভাবিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে, তার রাশ টানতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তাতে মানুষের ব্যয়যোগ্য আয় কমেছে। বাজারে তার প্রভাব পড়েছে। এছাড়া, সঠিক বিনিয়োগ ও সুযোগ-সুবিধা পুনর্বিন্যাস করে নিজেদের প্রস্তুত করতে কিছু সময়ের প্রয়োজন হবে বলে চিঠিতে বলা হয়।
সময় বৃদ্ধির অনুরোধ ছাড়াও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য তৈরি এই পরিকল্পের আরও কিছু দিক সম্পর্কে স্পষ্টীকরণ চাওয়া হয় চিঠিতে। এই পরিকল্পের বর্ধিত কাঠামোয় বলা হয়েছে, দুই-তৃতীয়াংশ পণ্যের জন্য শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়া হবে, কিন্তু কীভাবে তা নির্ধারণ করা হবে এবং বিজিএমইএ কীভাবে সেই তথ্য পাবে, চিঠিতে সেই প্রশ্ন তোলা হয়।
এছাড়া জিএসপির সঙ্গে নতুন পরিকল্পের কী পার্থক্য, বিশেষ করে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও সুরক্ষা ব্যবস্থা ইত্যাদির বিষয়ে নতুন এই পরিকল্প কীভাবে কাজ করবে, তা নিয়ে বিশদভাবে জানতে চেয়েছে বিজিএমইএ।
চিঠিতে বিজিএমইএ আরও বলেছে, তৈরি পোশাক শিল্পে বেশ কিছু ব্রিটিশ বিনিয়োগ এসেছে, যারা বেশ সফলতার সঙ্গে বাংলাদেশে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বিজিএমইএ মনে করে, ডিসিটিএসের মাধ্যমে দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক আরও নিবিড় হওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, তৈরি পোশাক শিল্পের কর্মীদের নিরাপত্তা, মঙ্গল ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। বর্তমানে দেশে ২০২টি লিড স্বীকৃত পরিবেশবান্ধব কারখানা আছে, যাদের মধ্যে ৭৩টি লিড প্লাটিনাম স্বীকৃতি অর্জন করেছে। সম্প্রতি পোশাক খাতের বিভিন্ন বৈশ্বিক ব্র্যান্ডের শীর্ষ কর্মকর্তারা বাংলাদেশ সফর করেছেন।
এছাড়া চিঠিতে আরও বলা হয়, শ্রমিকদের কল্যাণ ও পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিজিএমইএর উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকার শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি বোর্ড গঠন করেছে। আশা করা হচ্ছে, এবার শ্রমিকদের মজুরি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩
এমকে/এসআইএ