ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সংকট তৈরির চেষ্টা, হিমাগারে হানা দিয়ে মিলল ১৪ লাখ ডিম

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৯ ঘণ্টা, মে ৯, ২০২৪
সংকট তৈরির চেষ্টা, হিমাগারে হানা দিয়ে মিলল ১৪ লাখ ডিম

নরসিংদী: নরসিংদীতে সংকট তৈরি করে দাম বাড়ানো জন্য ১৪ লাখ ডিম মজুদ করা হয়েছে একটি হিমাগারে (কোল্ড স্টোরেজ)।  

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে নরসিংদী সদরের বালুসাইরে এমএস স্পেশালাইজড কোল্ড স্টোরেজে অভিযানে গেলে বিষয়টি নজরে আসে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নরসিংদীর সহকারী পরিচালক মাহমুদুল রহমানের।

এরপর তিনি দ্রুত ডিমগুলো বাজারজাত করার নির্দেশ দেন।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানায়, ব্যবসায়ীদের একটি সিন্ডিকেট ডিম মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে ডিমের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে- এমন খবর পেয়ে বালুসাইর এলাকার এমএস স্পেশালাইজড কোল্ড স্টোরেজে অভিযান চালানো হয়। অভিযানের তথ্য পেয়ে মালিক পক্ষ আগেই পালিয়ে যায়। পরে কর্মচারীদের মাধ্যমে কোল্ড স্টোরেজের একটি গুদাম খুললে ক্যারেটে করে সাড়ি সাড়ি ডিম মজুদ করে রাখতে দেখা যায়। পরে বাকি গুদামগুলো খুলেও দেখা যায়, ডিম মজুদ করে রাখা হয়েছে। এখানে প্রায় ১৪ লাখ ডিম মজুদ করে রাখা হয়েছে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নরসিংদীর সহকারী পরিচালক মাহমুদুল রহমান বলেন, কোল্ড স্টোরেজটি ভাড়া নিয়ে পাঁচ-ছয়জন ব্যবসায়ী এখানে ডিম মজুদ করে রেখেছেন। এখানে ব্যবসায়ীরা কেউ দুই লাখ আবার কেউ চার লাখ করে ডিম মজুদ করেছেন। আমরা ২০ দিন, ২৫ দিন ও এক মাস আগে ডিম মজুদ করার তথ্য পেয়েছি। আমাদের মনে হয়েছে বাজারে সরবরাহ কম করে সংকট সৃষ্টি করে ডিমের দাম বাড়ানোর জন্য মজুদ করে রাখা হয়েছে। বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার জন্য তিনদিনের মধ্যে ডিমগুলো বাজারজাত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কারসাজি করে পণ্যের দাম বাড়ানোর বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালানো হবে।

সিভিল সার্জন অফিসের স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মনির হোসেন ও জেলা পুলিশের একটি দল অভিযানে সহায়তা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, মে ৯, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।