প্রকল্পটির কাজ চায়না হারবারকে দিতে হবে- এ শর্তেই বিশাল অংকের ঋণ দিতে যাচ্ছে চীনের এক্সিম ব্যাংক। দুই শতাংশ সুদে ফোরলেন প্রকল্পে ঋণ দেবে ব্যাংকটি।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্র জানায়, সব প্রস্তুতি চূড়ান্তভাবে সম্পন্ন হয়েছে। চলতি জুন মাসের শেষের দিকে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কমার্শিয়াল চুক্তি হবে। এর পরেই সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) অনুমোদন নিয়ে চায়না এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে কাঙ্খিত ঋণ চুক্তি হবে।
চীনের সঙ্গে ঋণের বিষয়টি দেখভাল করছেন ইআরডি’র উপ-সচিব ড. এ কে এম মতিউর রহমান। তিনি বলেন, প্রকল্পের কাজ অনেকদূর এগিয়েছে। কমার্শিয়াল কন্ট্রাক্ট খুব জটিল কাজ, চলতি মাসেই এটি হবে। দুই শতাংশ হারে ঋণ দেবে চীন’।
‘চায়না হারবার অনেক কাজ করেছে। তাদের অভিজ্ঞতাও ভালো। আশা করছি, এই ফোরলেন প্রকল্পটিও ভালোভাবে বাস্তবায়ন করবে’।
এর আগে পায়রা বন্দরের মূল অবকাঠামো, তীর রক্ষাবাঁধ, আবাসন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের স্থাপনা নির্মাণ প্রকল্পসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে কাজ পেয়েছে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড।
অন্যদিকে চীনের জন্য চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় ৭৭৪ একর জমিতে প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে দেশের প্রথম জি-টু-জি অর্থনৈতিক অঞ্চল। এটি স্থাপনের কাজও পেয়েছে চায়না হারবার।
২০১৮ সালের মধ্যেই ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের চারলেনের কাজ শেষ করতে চায় সড়ক ও জনপথ অধিদফতর। ঢাকার কাঁচপুর থেকে সিলেট পর্যন্ত ২২০ কিলোমিটার সড়ক দু’লেন থেকে চারলেনে উন্নীত করা হবে। চারলেনের দু’পাশে আলাদা সার্ভিস লেন থাকবে। যেখানে ‘স্লো মুভিং’ যানবাহন চলাচল করবে। প্রকল্পের আওতায় ছোট আকারের ৬০টি সেতু, চারটি ফ্লাইওভার ও ২৭টি বক্স কালভার্টও নির্মাণ করা হবে।
ইআরডি জানায়, প্রাথমিকভাবে সার্ভে ও ফিজিবিলিটি স্টাডির ওপর ভিত্তি করে ২২০ কিলোমিটার সড়কে ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে। চীন এ অর্থ ঋণ হিসেবে দিচ্ছে বাংলাদেশকে। তবে কমার্শিয়াল চুক্তিতে ব্যয়ের তারতম্যের সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১১৮ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৭
এমআইএস/এএসআর