মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর ১২টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা নগরের কালিঘাট পাইকারি হাটে বিভিন্ন পণ্যের দাম তদারকি করেন তারা।
এসময় রমজানে নিত্যপণ্যের বাজারদর সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানান নেতারা।
তদারকি দলে ছিলেন সিলেট চেম্বারের সভাপতি খন্দকার শিপার আহমদ, বিএসটিআই’র রাকিবুল হাসান রিপন ও ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. ফয়জুল্লাহসহ সিলেট চেম্বার নেতা এবং কালিঘাট ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে পিঁয়াজ প্রতিকেজি ১৫-১৮ টাকা, রসুন প্রতিকেজি ৮৫ টাকা, আদা প্রতিকেজি ৭২ টাকা, চানা প্রতিকেজি ৭২-৭৫ টাকা, খেজুর প্রতিকেজি ১৩০-১৫০ টাকা, ডাল প্রতিকেজি ৫০-১০০ টাকা, তেল প্রতি লিটার ৮৫-১০২ টাকা, চিনি প্রতিকেজি ৫১ টাকা, কাঁচা মরিচ ৩০ টাকা।
এছাড়া কাঁচা বাজারের মধ্যে ঢেঁড়শ কেজিপ্রতি ৪০ টাকা, আলু ১২-১৫ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, পুঁইশাক কেজি ২০-২৫, টমেটো কেজি ৪০-৫০, শিম (গোয়ালগাদ্দা) ৩০-৪০), ফরাসের বীজ, ৪০, সাতকরা প্রতিহালি ৮০০ টাকা, লেবু এক হালি ৩০ টাকা, গাজর ৫০-৬০, পেঁপে ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে সিলেটের বাজারে। তাছাড়া গরুর মাংস প্রতিকেজি (হাড়সহ) ৪৮০ এবং হাড় ছাড়া ৬০০ টাকা কেজি, খাসির মাংস ৮০০, ব্রয়লার ১৫০-১৬০, কক প্রতি পিস ৪০০-৪৩০ টাকা।
সিলেট নগরের মদিনা মার্কেট এলাকার বাসিন্দা আহমেদ সামসুদ্দিন কুটি বাংলানিউজকে জানান, দু’দিন আগে ছেলের ওয়ালিমার বাজার করতে গিয়েছিলেন। বাজারে নিত্যপণ্যের দাম গত দু’সপ্তাহে কেজিপ্রতি ১০/২০ টাকা বা তারও বেশি বাড়ানো হয়েছে। সেই সঙ্গে মাছ মাংসের দামও বেড়েছে।
তবে ক্রেতাদের অনেকে বলেন, রমজান আসার সঙ্গে সঙ্গে দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ফলে সিলেট চেম্বারের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের মনিটরিং টিম বা ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে কাজ করলে রমজানে দ্রব্যমূল্যের দাম সহনীয় রাখা সম্ভব।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৯
এনইউ/এএ