মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) জাতিসংঘ সদর দফতরে সংস্থাটির অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের (ইকোসক) আয়োজিত উন্নয়নে জন্য অর্থায়ন (এফএফডি) বিষয়ক ফোরামে কান্ট্রি স্টেটমেন্টে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীও বাংলাদেশের উন্নয়নে নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করছে, বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে এমন তথ্য তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী।
ফোরামের সভায় শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, উন্নয়নশীল সব দেশের পক্ষে বক্তব্য রাখেন আ হ ম মুস্তফা কামাল। এলডিসি থেকে উত্তরণকারী দেশগুলোর পক্ষ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্দেশে তিনি বলেন, এসব দেশের টেকসই উত্তরণ নিশ্চিত করতে প্রাথমিক পর্যায়ে নীতিগত বিষয়গুলো পুনঃবিবেচনা করে সহযোগিতার পদক্ষেপ অবারিত রাখতে হবে।
টেকসই উত্তরণ অর্জনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কথাও ওই ফোরামে তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণ আমাদের জাতীয় আকাঙ্ক্ষাখার একটি দিক। বাংলাদেশ দ্রুততার সঙ্গে টেকসই উন্নয়নের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আমরা রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প ২০৪১ গ্রহণ করেছি এবং এই রূপকল্পদ্বয়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যগুলো অন্তর্ভুক্ত করেছি।
জাতিসংঘ মহাসচিব, সাধারণ পরিষদের সভাপতি, সদস্য দেশগুলো থেকে আগত মন্ত্রীসহ উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা, উন্নয়ন সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা, বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক, জাতিসংঘ ও এর সহযোগী সংস্থাগুলোর কর্মকতারা, অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা, সংশ্লিষ্ট অংশীজন, সিভিল সোসাইটি ও ব্যবসায়ী সেক্টরের প্রতিনিধিসহ স্থানীয় প্রতিনিধিরা নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত ৪র্থ এফএফডি’র সভায় অংশ নেন।
সভার বিরতিতে ইউএনডিপির প্রশাসক আসিম স্টেইনার এবং গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড এর নির্বাহী পরিচালক ইয়ানিক গ্লেমারেক এর সাথে বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল।
ইকোসক’র এফএফডি ফোরামের ফলোআপ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ বাস্তবায়নে একটি বৈশ্বিক আন্তঃসরকারি প্রক্রিয়া। ইকোসকের এই ৪র্থ উন্নয়নের জন্য অর্থায়ন ফোরাম ১৫ এপ্রিল শুরু হয়েছে যা আগামী ১৮ এপ্রিল শেষ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৯
এমআইএস/এমজেএফ